জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বড় বাধা তাঁর শারীরিক অসুস্থতা। শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক সমস্যা রয়েছে তাঁর। কিছুদিন আগে তাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল। বেশকিছু হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর তিনি ঘরে ফিরতে পেরেছিলেন। কিন্তু এবার বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ভোট দেবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল অনেকেরই।
আরও পড়ুন-‘রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই, মহিলাদের সম্মান নেই’, এবার ভোট প্রচারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য!
আপাতত বাড়িতেই হাসপাতালের মতো পরিকাঠামো নিয়ে থাকেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রাট ২৪ ঘণ্টাই চিকিত্সকদের পর্যবেক্ষণে থাকেন বুদ্ধবাবু। বিছানা থেকে প্রায় উঠতেই পারেন না। বুথে গিয়ে ভোটে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। বয়স্ক মানুষদের জন্য বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কমিশন। সেক্ষেত্রে ভোটদাতার বয়স হতে হবে ৮৫। বুদ্ধবাবু সেই বিভাগে পড়েন না। কারণ তিনি ৮০ ছুঁয়েছেন। ফলে তিনি ওই বিভাগে পড়ে না। এবার ভোট দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। তিনি দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের ভোটদাতা। সেই কেন্দ্রে এবার সিপিএমের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন শায়রা শাহ হালিম। তিনি বুদ্ধবাবুর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন বুদ্ধবাবু।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের প্রচারে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাতিয়ার করেছিল সিপিএম। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে বুদ্ধবাবুর একটি বক্তৃতা বাজারে ছেড়েছিল সিপিএম। সেই বক্তব্য তিনি দেশ বাঁচাতে বিজেপিকে হঠানোর ডাক দিয়েছিলেন। সেই বক্তৃতায় বুদ্ধবাবুর অবয়ব বলছে, কেমন আছেন সবাই? দেশ ও দুনিয়ার এই কঠিন পরিস্থিতিতে ভালা থাকা আমাদের পক্ষে সত্যই দুস্কর। কী হতে যাচ্ছে পশ্চিম বাংলায়। সন্দেশখালিতে যে অন্যায় করেছে তৃণমূল তা তার কোনও ক্ষমা নেই। রাজ্য কর্মসংস্থান নেই, মহিলাদের সম্মান নেই। দুর্নীতির আখড়া হয়ে যাচ্ছে রাজ্যটা। আমরা রাজ্যটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলছিলাম। আণরা বলেছিলাম শিল্প হবে, কৃষির উন্নতি হবে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের চাকরি হবে। বিজেপিকে নিশানা করে বুদ্ধবাবু(এআই) বলেন, কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে বিজেপি। দুর্নীতিগ্রস্থ বিজেপি। নোটবন্দি করল, করপোরেটদের যতেচ্ছ তোষণ। এখন ইলোকটোরাল বন্ডের মতো দুর্নীতি। দাম বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। ধুঁকছে অর্থনীতি। প্রতিদিন সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়াচ্ছে বিজেপি। মনে রাখবেন তৃণমূলের আমলেই বাংলায় বিজেপি বাড়বাড়ন্ত। কে এই নরেন্দ্র মোদী। কে এই মমতা ব্যানার্জি? আমাদের দেশকে, রাজ্যকে ধ্বংস করা সুযোগ ওদের দেবেন না। এই নির্বাচনে জয়ী করুন বাম প্রার্থীদের। সমনে লড়াই। এ লড়াই লড়তে হবে। এ লড়াই জিততে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে যাদবপুরে পরাজয়ের পরে রাজনীতি থেকে ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকেন। ২০১৯ সালের তাঁর তাঁর সমর্থকরা আশা করেছিলেন ব্রিগেডে দেখা পাবেন। কিন্তু ব্রিগেডে মঞ্চের কাছাকাছি গেলেও তিনি গাড়িতেই বসেছিলেন। মঞ্চে উঠতে পারেননি। এবার বাইরে বের হওয়ার সুযোগই নেই তাঁর হাতে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)