এই সময়: বাম জমানার বিদায়বেলায় ডায়মন্ড হারবার ফটিকচাঁদ কলেজে ঢুকেছিল এক ডাকাবুকো ছেলে। ২০০৯ সালের সেই সময়ে নন্দীগ্রাম সিঙ্গুরের ধাক্কায় বাংলায় বাম-বিরোধী মনোভাব তুঙ্গে। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদ জোড়াফুল দখল করেছে। সেই সময়ের যাঁরা তরুণ, তাঁদের বড় অংশের মধ্যে বাম সরকার বিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে।কিন্তু ফটিকচাঁদ কলেজে পা দেওয়া এই ছেলে স্রোতের উল্টো দিকে হেঁটে এসএফআই-এর খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন। এক বছর পরেই এই কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হন। যদিও পরের বছরেই রাজ্যে পালাবদল হয়। ফটিকচাঁদ কলেজেই বেধড়ক মার খান এই তরুণ। পরবর্তী এক দশকে কখনও ডায়মন্ড হারবার, কখনও বিষ্ণুপুরে একাধিকবার মার খেয়েছেন। একবার প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার করেছিলেন গ্রামের মানুষ।
সেই ছেলেই এ বার ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় সিপিএমের প্রার্থী প্রতীক উর রহমান। সিপিএমের নবীন প্রজন্মের যাঁরা মুখ হয়ে উঠেছেন সেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সৃজন ভট্টাচার্য, দীপ্সিতা ধর, ঐশী ঘোষদের মধ্যে প্রতীক উর সবথেকে বেশি মার খেয়েছেন। সৃজন-প্রতীক এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক ও সভাপতি পদে কয়েক দফায় থেকেছেন।
সেই ছেলেই এ বার ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় সিপিএমের প্রার্থী প্রতীক উর রহমান। সিপিএমের নবীন প্রজন্মের যাঁরা মুখ হয়ে উঠেছেন সেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সৃজন ভট্টাচার্য, দীপ্সিতা ধর, ঐশী ঘোষদের মধ্যে প্রতীক উর সবথেকে বেশি মার খেয়েছেন। সৃজন-প্রতীক এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক ও সভাপতি পদে কয়েক দফায় থেকেছেন।

তখন কলকাতার বুকে একাধিকবার পুলিশের টিয়ার গ্যাস, লাঠিচার্জের সামনে জোরদার আইন-অমান্য আন্দোলন করেছে সিপিএমের ছাত্র-যুব শাখা। গ্রামের ছেলে হওয়ায় বুথস্তর থেকে রাজনীতি করার অভিজ্ঞতার রয়েছে প্রতীক উরের। তাই ছাত্র-শাখা থেকে বিদায় নেওয়ার পরে অন্য কোনও গণসংগঠনের দায়িত্ব না দিয়ে প্রতীক উরকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সরাসরি পার্টির কাজে নিয়োগ করেছে।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার বিধানসভায় প্রতীক উর প্রার্থী হন। বহু বাম প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হলেও প্রতীক উরের কিন্তু জামানত যায়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতীক উরের হাতেই লড়াইয়ের ব্যাটন তুলে দিয়েছেন শমীক লাহিড়ি, সুজন চক্রবর্তীরা।