লক্ষ্মীর ভাণ্ডার,তিলে তিলে সঞ্চয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে, রাতারাতি উধাও দেড় লাখ টাকা – huge cash theft from lakshmir bhandar at a house in hooghly


লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা জমিয়ে রাখা বাংলার ঘরে ঘরে অনেক পুরনো অভ্যাস। বাড়ির মহিলারা মাটির লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কাজে লাগানোর জন্য অর্থ সঞ্চয় করেন। সেরকমই প্রায় দেড় লাখ টাকা সঞ্চয় করেছিলেন হুগলির গৃহবধূ। তার যে এই পরিণাম হবে ভাবতেও পারেননি।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির হিন্দমোটর বিবিডি রোডের বাসিন্দা ঝুমুর দাস। গত ২৬ তারিখ দুর্গাপুর গিয়েছিলেন তাঁর এক আত্মীয়র বাড়িতে। সেই সময় তাঁর এক জামাইবাবু গাছের আম দিতে হিন্দমোটরের বাড়িতে যান। দেখেন বাড়ির দরজা খোলা, কিন্তু কেউ নেই বাড়িতে। তখনই সন্দেহ হয় তাঁর।

এরপরেই তিনি ফোনে যোগাযোগ করেন ঝুমুর দেবীর সঙ্গে। ফোন করে পুরো ঘটনার কথা তাঁর কাছে। ফোন পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসেন ঝুমুর দেবী সহ পরিবারের সদস্যরা। বাড়ি ফিরে এসে দেখেন তাঁর বাড়িতে রাখা তিনটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভাঙা। মাথায় হাত পড়ে পরিবারের সকলের। এই তিনটি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কয়েক বছর ধরে প্রায় দেড় লাখ টাকা জমিয়েছিলেন ঝুমুর দেবী।

ঝুমুর দেবী বলেন, ‘তিন বছর ধরে শুধু পাঁচশো টাকার নোট জমিয়েছি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে। প্রায় দেড় লাখ টাকা জমেছিল।’ তবে চোর এখানেই থেমে থাকেনি। বাকি আরও বেশ কিছু নগদ অর্থ আলমারিতে রাখা ছিল। বাড়ির আলমারি থেকে আরও এক লাখ টাকা ও লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরি হয়েছে বলে গৃহবধূর অভিযোগ।

মাত্র ১ টাকায় পরোটা, সঙ্গে তরকারি ফ্রি! পাবেন কোথায়? জেনে নিন ঠিকানাটা
বিষয়টি জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ এসে বিষয়টি যাচাই করে যায়। উত্তরপাড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। রাত দুপুরে এই ধরনের চুরির ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। যত দ্রুত সম্ভব চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে ধরার ব্যাপারে পুলিশের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। যদিও, চুরির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *