শুনেছেন পুলিশ আধিকারিকরাও
আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিনের সহকারী হিসাবে নাম আসে সিয়ামের। শনিবার নেপালে গিয়েছে ডিবি পুলিশের একটি দল। নেপালে যাওয়ার আগেই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান জানান তাঁরাও নেপালে সিয়ামের আটক হওয়ার কথা শুনেছেন। নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এই কথা জানান হারুন।
তিনি জানান, খুনের ঘটনায় অন্য অভিযুক্তদেরও নেপালে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ডিবি প্রধান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই ইন্টারপোলকে চিঠি দিয়েছি। কাঠমান্ডুর পুলিশের সঙ্গেও আমাদের তথ্য আদানপ্রদান চলছে। এই ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি ক্রস চেক করতে নেপাল যাচ্ছি।’ তবে কোন জায়গা থেকে সিয়ামকে ধরা হয়েছে সেটা সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জানা যায়নি।
কে এই সিয়াম?
জানা গিয়েছে এই সিয়াম আক্তারুজ্জামান শাইনের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়। আনারকে কলকাতার নিউটাউনের ফ্ল্যাটের হত্যা করার পরে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়। তারপরে সেই দেহাংশ লোপাট করা হয়। এই কাজের সঙ্গে সিয়াম জড়িত ছিলেন বলে দাবি ডিবির আধিকারিকদের। এই ঘটনায় তদন্তর সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা জানান, সিয়ামকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
আগে কলকাতায়
এর আগে, আজিম হত্যার তদন্তে কলকাতা আসে ডিবির একটি দল। হারুনের নেতৃত্বেই সেই দলটি কলকাতা আসে। তাঁরা আসার পরেই ওই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু হাড় এবং মাংসের টুকরো। এগুলো আনারের বলে সন্দেহ। সেটা নিশ্চিত হতে ফরেন্সিক এবং ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে জানান হারুন অর রশিদ। এই ঘটনায় আগেই ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে আমানউল্লাহ, শিলাস্তি রহমানদের। তাদের জেরা করে খুনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।