কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখযোগ্যভাবে, বসিরহাট কেন্দ্রটি এই লোকসভা নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে থেকেই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সন্দেশখালি দফায় দফায় তপ্ত হয়েছিল।
স্থানীয় নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে উঠেছিল একাধিক অভিযোগ। স্থানীয় মহিলারা তাঁর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তোলে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলায় ভোট প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় নেতারা পর্যন্ত বিঁধেছিল তৃণমূল সরকারকে।
যদিও কিছুদিন আগেই সন্দেশখালির বেশ কিছু ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে বিজেপি নেতাকে ক্যামেরায় বলতে শোনা যাচ্ছে, টাকার বিনিময়ে মহিলাদের দিয়ে এই সমস্ত অভিযোগ করানো হয়েছিল (এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল)। সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনজুড়ে ‘টক অফ দ্য টাউন’ ছিল সন্দেশখালি।
এদিকে সন্দেশখালির ‘প্রতিবাদী মুখ’ রেখা পাত্রকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরই তিনি ফোন পান নরেন্দ্র মোদীর। রাতারাতি লাইম লাইটে চলে আসেন রেখা পাত্র।
অন্যদিকে, ২০১৯ সালে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে নুসরত জাহানকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু, এবার আর এই সেলেবকে টিকিট দেওয়া হয়নি। বরং বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের ‘ভূমিপুত্র’ হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী করেছে রাজ্য়ের শাসক দল। এখন দেখার শেষমেশ এই কেন্দ্র থেকে জয় ছিনিয়ে আনেন কোন প্রার্থী?