অন্যদিকে, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন এই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। এদিন সকালে বারুইপুরে একটি বুথে বাধার মুখে পড়েন সৃজন। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে জমায়েত কেন, এই প্রশ্ন তুলতে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন সিপিএম প্রার্থী। তাঁকে ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়।
সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের দাবি, ভাঙড় ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলছে। প্রশাসনকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে। তিনি জানান, ভোটের দিন সকাল থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। বোমা-গুণ্ডামি, দুষ্কৃতী দিয়ে ভোট যাতে ঠিকঠাকভাবে না হয় সেই চেষ্টা করছে শাসক দল বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ও এদিন বেশ কিছু বুথ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের মাঝেই তিনি ইভিযোগ করেন, ‘রাজ্যে ভোটের একটা নেগেটিভ মডেল তৈরি করা হয়েছে। হুমকি-পেশী শক্তি দিয়ে সন্ত্রাস করে ভোট করানো হচ্ছে।’ সম্প্রদায় চিহ্নিত করে সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্র থেকেই তৃণমূলের টিকিটে গতবার লড়েছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এদিন তাঁকে কসবার সারদা অ্যাকাডেমি স্কুলের ১৭৭ নম্বর বুথে ভোট দিতে দেখা যায়। এবারের ভোটের পুরো ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশংসা করেন তিনি। যদিও, রাজনৈতিক কোনও বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তবে, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ভাঙড় এলাকা। শুক্রবার রাতেই ভোগালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। এদিকে, আজ সকালে ভাঙড়ের নলমুড়িতে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ। অশান্তি থামাতে গিয়ে সাতুলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা বুথে এক পুলিশ কর্মীও আঘাতপ্রাপ্ত হন।