স্কুল-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পড়ুয়া বা অভিভাবকরা টাকা দিয়ে পড়ানোর যে তথ্য দিয়েছেন, তার ভিডিয়ো ও অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ ঠিক কি না, সেগুলোই বা যাচাই করবেন কারা? আর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশন করেন ক্লাসের নির্ধারিত সময়ের পর। অর্থাৎ, সকাল সাড়ে দশটার আগে ও বিকেল সাড়ে চারটের পর।
স্কুলশিক্ষা কমিশনার, পর্ষদ এবং ডিআই অফিসের আধিকারিকরা স্কুলে-স্কুলে পরিদর্শন করতে পারেন ক্লাস চলাকালীনই। তার আগে ও পরের সময় নিয়ে তদন্ত করবেন কোন আইনে? এ ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসন বা কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে হবে আদালতকে। মামলাকারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাস বলেন, ‘কমিশনার, পর্ষদ এবং ডিআইদের আদালত ৮ সপ্তাহে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে বলেছে। ওঁরা না পারলে আমরা আদালতে কর্মরত শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে এজেন্সি নিয়োগ করতে বলব।’
বিকাশ ভবনের খবর, শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রধান শিক্ষকের কাছে মুচলেকায় জানান যে তাঁরা প্রাইভেট টিউশন, বিমা এজেন্সি, শেয়ার মার্কেটে লেনদেন-সহ অন্য কোনও লাভজনক ব্যবসায় যুক্ত নয়। প্রধান শিক্ষকরা তা ডিআই-এর কাছে জমা দেন। ২০২৪ সালের নথি জমা দেওয়াও হয়ে গিয়েছে। এখন আইনি লড়াইয়ে কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত ছাড়া ব্যবস্থা নেওয়া কার্যত অসম্ভব।