School Teacher,শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন ধরবে কারা? প্রশ্ন আদালতের নির্দেশের পরেও – wb education department is desperate to find to stop private tuition of school teacher


এই সময়: আদালতের নির্দেশের পরও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের রাস্তা খুঁজতে দিশেহারা স্কুলশিক্ষা দপ্তর। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণের পর প্রাথমিক আলোচনা সেরেছেন দপ্তরের কর্তারা। এতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও উঠে এসেছে।কর্তাদের প্রশ্ন, মামলাকারী ‘প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে যে সব প্রমাণ দেওয়া হয়েছে, তার তদন্ত করবে কে? কারণ, স্কুলশিক্ষা কমিশনার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (ডিআই) অফিস তদন্তকারী সংস্থা নয়। প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গেলে সমস্যা বাড়বে।

স্কুল-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পড়ুয়া বা অভিভাবকরা টাকা দিয়ে পড়ানোর যে তথ্য দিয়েছেন, তার ভিডিয়ো ও অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ ঠিক কি না, সেগুলোই বা যাচাই করবেন কারা? আর স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশন করেন ক্লাসের নির্ধারিত সময়ের পর। অর্থাৎ, সকাল সাড়ে দশটার আগে ও বিকেল সাড়ে চারটের পর।

স্কুলশিক্ষা কমিশনার, পর্ষদ এবং ডিআই অফিসের আধিকারিকরা স্কুলে-স্কুলে পরিদর্শন করতে পারেন ক্লাস চলাকালীনই। তার আগে ও পরের সময় নিয়ে তদন্ত করবেন কোন আইনে? এ ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসন বা কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে হবে আদালতকে। মামলাকারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাস বলেন, ‘কমিশনার, পর্ষদ এবং ডিআইদের আদালত ৮ সপ্তাহে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে বলেছে। ওঁরা না পারলে আমরা আদালতে কর্মরত শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধে এজেন্সি নিয়োগ করতে বলব।’

পড়াবেন কে? শিক্ষকের আকালে ডিআইদের নির্দেশে চরম বিভ্রান্তি

বিকাশ ভবনের খবর, শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রধান শিক্ষকের কাছে মুচলেকায় জানান যে তাঁরা প্রাইভেট টিউশন, বিমা এজেন্সি, শেয়ার মার্কেটে লেনদেন-সহ অন্য কোনও লাভজনক ব্যবসায় যুক্ত নয়। প্রধান শিক্ষকরা তা ডিআই-এর কাছে জমা দেন। ২০২৪ সালের নথি জমা দেওয়াও হয়ে গিয়েছে। এখন আইনি লড়াইয়ে কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত ছাড়া ব্যবস্থা নেওয়া কার্যত অসম্ভব।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *