রবিবার বিকালের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কথা। যদিও তা হবে কিনা সেটা এখনই স্পষ্ট নয়। পুরনিগমের তরফে শহরবাসীকে বলা হয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া অবধি পুরনিগমের সরবরাহ করা জল পান না করতে। এ দিকে শনিবার থেকে শহরে জলের ট্যাঙ্কের সংখ্যা, পানীয় জলের পাউচের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
আজ থেকে ৭৫ টি জলের ট্যাঙ্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল থেকেই ওয়ার্ডগুলিতে রাখা হয়েছে জলের ট্যাঙ্কগুলি। পিএইচই-এর ২ হাজার লিটারের ৩০ টি ট্যাঙ্ক রয়েছে। এছাড়াও মিরিক, জলপাইগুড়ি, ইসলামপুর পুরসভা থেকেও জলের ট্যাঙ্ক নিয়ে আসা হয়েছে।
আজ থেকে তিন লাখ জলের পাউচ ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিলি শুরু করা হয়েছে। মেয়র গৌতম দেব জানান, জলের ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন দফতর সহযোগিতা করছে। যদিও জলের ট্যাঙ্ক ওয়ার্ডগুলিতে পাঠানো হলেও কোথায় কোন এলাকায় সেগুলি যাচ্ছে, তা জানছেন না বাসিন্দারা। এর ফলে বাধ্য হয়ে অনেককেই জল কিনে পান করতে হচ্ছে। কয়েকদিনে জল নিয়ে কালোবাজারিও শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে প্রাক্তন মেয়র, সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘গৌতম দেব ও তৃণমূলের বোর্ড মানুষকে দূষিত জল পান করিয়েছে। এই দায় তাঁরা এড়াতে পারেন না।’
অন্যদিকে, পুরনিগমের বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন জানান, কোথায় কোন এলাকায় জলের ট্যাঙ্ক কখন যাবে তা মানুষ জানতে পারছে না। মেয়র এখন দায় এড়াতে ভুল কথা বলছেন। জলের রিপোর্ট দেখাচ্ছেন না। এদিন শিলিগুড়ির এনজেপি স্টেশনে নামেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘শিলিগুড়ির মানুষকে বলবো এক গ্লাস করে দূষিত জল ওদেরকে পান করাতে। তাহলে বুঝবেন।’