Arambagh News,আরামবাগে ছেলের জন্মদিনে ৫০০ চারা বিলি বাবার – khanakul majpur primary school head master distribute plants to his sons birthday


এই সময়, আরামবাগ: সচেতনতার বার্তা দিতে কখনও খানাকুল থেকে হেঁটে দিল্লি গিয়েছেন। আবার কখনও মুখে রং মেখে পায়ে নূপুর পরে বাজনা বাজিয়ে নেচেছেন। সবুজ পৃথিবী গড়ার ডাক দিয়ে এ বার ছেলের ২১তম জন্মদিনে ৫০০ চারা বিলি করলেন বাবা দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। গত শুক্রবার সকালে ঝড়-জল উপেক্ষা করে তিনি খানাকুলের প্রত্যন্ত এলাকা মাজপুর থেকে চলে আসেন আরামবাগের মায়াপুর এলাকায়। এখানে আরামবাগ-কলকাতা প্রধান সড়কে দাঁড়িয়ে পথচলতি মানুষদের হাতে চারাগাছ তুলে দেন দেবাশিস।দেবাশিস খানাকুলের মাজপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। সেখানেই তাঁর বাড়ি। তিনি এলাকার মানুষের কাছে ‘বহুরূপী গোলাপসুন্দরী’ প্রধান শিক্ষক নামে পরিচিত। কারণ, গোলাপসুন্দরী নাম নিয়ে বহুরূপী সেজে গালে-কপালে রং, হাতে বালা, পায়ে নূপুর পরে, থালা বাজিয়ে নেচে নেচে ছড়া কেটে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেন।

কখনও করোনা কখনও ডেঙ্গি প্রতিরোধে তিনি বিভিন্ন গ্রামের রাস্তায় ঘুরে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেন। এমনকী তিনি সচেতনতার বার্তা নিয়ে দিল্লি থেকে দার্জিলিং, দিঘা-সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছেন। এ বার সমাজ সচেতনতার মধ্যে দিয়ে নিজের ছেলের জন্মদিন পালন করলেন। মানুষকে বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে ছেলে দীপ্তমকে সঙ্গে নিয়ে ওই দিন আরামবাগের মায়াপুরে প্রায় ৩০০ আম গাছ ও ২০০ সোনাঝুরি গাছের চারা উপহার দেন। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের সব স্তরের মানুষজন।

World Environment Day 2024: পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পলিব্যাগ, বোতলে তৈরি ইকো ব্রিকসে সাজল বাগান
এ দিন কাজে বেরিয়ে আম গাছের চারা পাওয়ার পর গোঘাটের ভাদুরের বাসিন্দা অমিত সাঁতরা বলেন, ‘বর্তমানে পৃথিবী যে ভাবে উষ্ণ হয়ে উঠছে তাতে বৃক্ষরোপণের সত্যিই প্রয়োজন। খুবই ভালো লাগছে।’ পলাশ দে নামেও একজনও গাছ পেয়ে খুশি। দেবাশিস বলেন, ‘পৃথিবী বাঁচাতে গাছ লাগান। আমি আর কতটুকু করলাম। এই ভাবে একটা বার্তা দিলাম মাত্র। প্রত্যেকে তাঁর নিজের এলাকায় গাছ লাগায়, তাই। মানুষ যাতে গাছ লাগানোর ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হন তাই ছেলের জন্মদিনে চারা উপহার দিলাম।’ এ দিন গাছ পেয়ে ছেলে দীপ্তমকে সবাই আশীর্বাদও করেন।

ছেলে দীপ্তম বলেন, ‘বাবা আমার জন্মদিনটি এত সুন্দর ভাবে পালন করার জন্য খুব ভালো লাগছে। অনেক মানুষ গাছ পেয়ে খুবই খুশি। তাঁদের প্রত্যেককেই অনুরোধ করেছি প্রত্যেকটা গাছকে বড় করে তুলতে হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *