Bankura Lok Sabha Election,জোড়া ফুল হোক বা পদ্ম, মিষ্টি মুখে জোর লড়াই বাঁকুড়ায় – west bengal lok sabha elelction party symbol used in sweets at bankura


শনিবার লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে ভোটের রণাঙ্গণে জোর লড়াই দিয়েছেন বাংলার ভোটপ্রার্থীরা। যুযুধান সবপক্ষ কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে দেননি। রাজনৈতিক দলগুলির প্রতীক যুদ্ধের দামামা বেজেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। তবে, এবার সেই প্রতীক চিহ্ন রয়েছে একে অপরের পাশে। অবাক হওয়ার কিছু নেই! কথা হচ্ছে মিষ্টির।সাত দফার নির্বাচন শেষ, এবার ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষা। তার আগেই বাঙালির পছন্দের মিষ্টিতেও রাজনীতির রং! কথাটা শুনতে অবাক লাগলেও এটাই এখন সত্যি বাঁকুড়া শহরে। শহরের জুনবেদিয়ার একটি মিষ্টির দোকানে এখন সহাবস্থান পদ্ম, ঘাস ফুল থেকে কাস্তে হাতুড়ির।

এবার জেলার দু’টি কেন্দ্রেই ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দিতা হয়েছে। বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে জোর টক্কর প্রতিটি প্রার্থীর মধ্যে। সেই কথা মাথায় রেখেই জুনবেদিয়ার ওই মিষ্টির দোকানে শোভা পাচ্ছে বিজেপি, তৃণমূল আর সিপিএমের প্রতীক চিহ্নের আদলে তৈরি মিষ্টি। নিজেদের রাজনৈতিক বিশ্বাস মতো নিজেদের পছন্দের প্রতীক চিহ্নের আদলে মিষ্টি কিনে হাসি মুখে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারাও।

ওই মিষ্টির দোকানের মালিক জয়দেব বরাট বলেন, ভোট আবহে আমরা মিষ্টির মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কম-বেশি সব প্রতীকের ন্যায় মিষ্টি তৈরি করা হচ্ছে। মূলত খোয়া ও সন্দেশের সঙ্গে ‘সার্টিফায়েড রং’ ব্যবহার করেই এই মিষ্টি তৈরি হয়েছে। আর দুদিন গেলেই ফলাফল প্রকাশ হবে। তার আগেই সব দলের প্রতীক চিহ্নের মিষ্টি কিনতে ভিড় জমছে তাঁর দোকানে।

Viral EVM Sweets : ভোটের বাজারে নতুন চমক, মিষ্টি-মধুর ইভিএম!

যে কোনও নির্বাচনের সময়ই বিভিন্ন ব্যবহারিক জিনিসেও রাজনৈতিক রং লাগে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক ব্যবহার করে ছাতা, টুপি, শাড়ি,ব্যাগ সহ নানা জিনিসের পসার দেখা যায় বাজারে। ভোটের হাওয়ায় নিজেদের ভাসিয়ে রাখতেই এই ধরনের জিনিস বিক্রি করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ অনুযায়ী ক্রেতারাও এই ধরনের জিনিস কিনতে আগ্রহী হন ভোটের সময়।

রুখাসুখা মাটিতে এবার ঘাসফুল না পদ্ম? বাঁকুড়ায় জোড় লড়াই সুভাষ-অরূপের
সেরকম এই প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করে মিষ্টি তৈরির বিষয়টিও নতুন নয়। ভোটের আবহে বিক্রেতাদের আকর্ষণ করতেই এই ধরনের মিষ্টি তৈরি করে থাকেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। সেরকমই বাঁকুড়া জেলার জুনবেদিয়ার একটি মিষ্টি ব্যবসায়ীও সুযোগটিকে হাতছাড়া করতে চাননি। ফলাফলের দিন যেই জিতুক না কেন, তার মিষ্টি বেশি বিক্রি হলেই হাসি ফুটবে তাঁর মুখে। লক্ষ্মীলাভের আশাতেই তাই এই আয়োজন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *