কলকাতার দু’টি লোকসভা আসনের সঙ্গে এই দফায় ভোট ছিল দুই ২৪ পরগনার সাত কেন্দ্রে। ফলে, টান পড়েছে বাসে। ভোটের জন্য এ বার বিভিন্ন রুটের বাসের সঙ্গে শহরের সব মিনি বাস-ই তুলে নিয়েছে প্রশাসন। যে সব বেসরকারি বাস ভোটের কাজে নেওয়া হয়নি, সেগুলোর একাংশ আবার ভোটের কারণ দেখিয়ে এ দিন পথে নামেনি— ভোটের দিন আর ক’জনই বা বেরোবেন, এমন মানসিকতা থেকে।
ফলে গড়িয়া থেকে শ্যামবাজার, সর্বত্রই একটা বাস পেতে অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। কম নেমেছে সরকারি বাসও। এ সবের ফলে পথে নেমে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে আমজনতাকে। এ দিন কাজে বেরোনো লোকজনের একটা বড় অংশকে নির্ভর করতে হয়েছে অটোরিকশা ও মেট্রো রেলের উপর। তবে বহু রুটে অটোরিকশাও ছিল খুবই কম। বেশ কিছু জায়গায় একই রকম কম ছিল ট্যাক্সির সংখ্যাও।
অল ইন্ডিয়া বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির প্রধান রাহুল চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পর গণ পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।’ কোভিড-পর্বের পর পেট্রল-ডিজে়লের দাম বাড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাস মালিকদের ভাড়া বাড়ানোর দাবি রাজ্য সরকার নাকচ করে দেওয়ায় শহরের বেসরকারি বাসের সংখ্যা এমনিতেই কমছিল।
আবার বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে ধাপে ধাপে শহর থেকে ১৫ বছর বয়স্ক বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে যত পুরোনো বাস উঠে গিয়েছে, সেই তুলনায় নতুন বাস রাস্তায় নেমেছে খুবই কম। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ভোটের জন্য মে মাসের গোড়ায় ৪০০টি বাস কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমকে তুলে দিতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।