Lok Sabha Election 2024 : ফিল্ডে প্রার্থীদের ক্ষোভ, তবু ফোর্সকে সার্টিফিকেট শুভেন্দুর – lok sabha election 2024 last phase many questions raised about role of central forces


মণিপুস্পক সেনগুপ্ত, এই সময়
ভোট-পর্বের প্রথম থেকেই বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বিজেপির অন্দরে নানারকম মত ছিল। শনিবার শেষ দফার ভোটের দিনও এই ইস্যুতে একসুর শোনা গেল না পদ্ম-ব্রিগেডে। এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত এবং বরাহনগর বিধানসভা উপ-নির্বাচনের প্রার্থী সজল ঘোষ-সহ আরও বিজেপির আরও অনেককেই।কিন্তু দিনের শেষে দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন ঢালাও সার্টিফিকেটই দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এদিন ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে অনেক এলাকাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিজেপি নেতাদের। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও বুথে দাপিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।

দমদমের বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত রাজ্য পুলিশের হাতের পুতুল আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালনা করেছে পুলিশ। আর আমাদের রাজ্যের পুলিশ কেমন তা সবাই জানে। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। কিউআরটি থেকে নির্বাচন কমিশনের যত দ্রুত সক্রিয়তা দেখানো উচিত ছিল ততটা হয়নি।’

ফলতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ তুলেছেন ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। তিনিও কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। বরাহনগর বিধানসভা উপ-নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষও এদিন ভোট চলাকালীন ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে অবাধে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে।’

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলায় কিন্তু এদিনই অন্য সুর শোনা গিয়েছে। ভোট শেষে দলের সল্টলেক পার্টি অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যও। সেখানে শুভেন্দু বলেন, ‘ব্যাপক হারে ছাপ্পা ভোট তৃণমূল দিতে পারছে না কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্যই। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন মেনে তারা ভালো কাজ করেছে।

Lok Sabha Election 2024 : বিরোধী প্রার্থীদের অনেকেই শাসকদলের ব্যারাকিং-ফাঁদে

তাদের সীমাবদ্ধতাটাও পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বুঝতে হবে। অনেকেই আমাকে মেসেজ করে বলেছেন, যে এটা কী হচ্ছে, এত পুলিশ, অমুক-তমুক! আমি তাঁদের বলেছি, আপনি কি ভোট দিতে পেরেছেন? আপনার পরিবার কি ভোট দিতে পেরেছেন? প্রতিবেশীরা পেরেছেন? জবাব এসেছে, হ্যাঁ। ডায়মন্ড হারবার ছাড়া বেশিরভাগ এলাকার মানুষই ভোট দিতে পেরেছেন। এর কৃতিত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর।’

তাঁর সংযোজন, ‘তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যে অ্যাকশন মোডে দেখানোর দরকার ছিল, সেটা কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে গিয়ে। এর পরেও বলব, কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রপারলি রেসপন্স করেছে। হয়তো একটু টাইম লেগেছে। কারণ, পুলিশ তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *