Lok Sabha Vote In Bhangar,শুরুতে বোমাবাজি, সংঘর্ষ বাদে শান্তির ভোট ভাঙড়ে – lok sabha election 2024 seven phase peaceful vote held in bhangar


প্রশান্ত ঘোষ, ভাঙড়
সাত সকালে আচমকা অশান্তি, এরপর অবশ্য অনেকটা ঠান্ডা হয়ে গেল ভাঙড়। ভোটও হলো নির্বিঘ্নে। অথচ, এই এলাকায় এক সময়ে ভোট মানেই ছিল দিনভর বোমাবাজি, রক্ত, গোলাগুলি। চারিদিকে আতঙ্ক। থমথমে পরিবেশ। আর এমন পরিস্থিতিতেই সাধারণ ভোটাররা চোখেমুখে ভয় নিয়ে বুথে যেতে বাধ্য হতেন। শনিবার ঘুরেও সেই চেনা ছবি খুব একটা দেখা গেলনা।সকালটা উত্তেজনার মধ্য দিয়ে শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটের উত্তাপ কমতে থাকে। বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি হলেও বাসিন্দারা বলছেন, অতীতের সঙ্গে তুলনা করলে এটা তেমন কোনও বিষয় নয়। তবে, চাপা উত্তেজনা থাকলেও ভোট লুট, বিরোধী এজেন্টদের চমকে তুলে দেওয়া কিংবা বুথ দখলের অভিযোগ তোলেনি কোনওপক্ষ।

দিনটা যদিও শুরু হয়েছিল গোলমালের খবরে। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রথম গন্ডগোল হয় সাতুলিয়াতে। সেখানে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। এরপর ফুলবাড়ি গ্রামে তৃণমূল ও আইএসএফের বিরুদ্ধে মারমারির অভিযোগ ওঠে। বুথে এজেন্ট বসা নিয়ে ঝামেলা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। দু’জায়গাতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আবার নলমুড়ি গ্রামে বুথে যাওয়ার সময়ে আইএসএফ কর্মীদের হাতে বেধড়ক মার খান তিন তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনায় রেজ্জাক মোল্লা ও জিয়াদ খানের মাথা ফাটে এবং মহিউদ্দিন খানের হাতে আঘাত লাগে। গত বিধানসভা ও পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড়ের গ্রামে গ্রামে অশান্তি হয়েছিল। এমনকী, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন দিতে গিয়ে বিজয়গঞ্জ বাজারে আইএসএফ ও তৃণমূলের বোমাগুলির যুদ্ধে তিনজন মারা যান।

এরপর ফল ঘোষণার রাতে আইএসএফের বোমার পাল্টা পুলিশ গুলি চালায়। তাতে মৃত্যু হয় তিনজনের। সেই সব গ্রামগুলি এবার নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরে স্বস্তিতে। মাত্র পাঁচ মাস আগে দায়িত্ব নেওয়া কলকাতা পুলিশ ভাঙড়ের শাসক ও বিরোধী সব দলের নেতাদের আগে থেকেই শাসিয়ে রেখেছিল যার বুথে গন্ডগোল হবে তাঁকে চরম ফলভোগ করতে হবে।

চালতাবেড়িয়ার আইএসএফ নেতাকে সকাল থেকে বিকেল বসিয়ে রাখা হয় উত্তর কাশীপুর থানায়। বুথগুলির কাছাকাছি কোনও বিরিয়ানির স্টল, মাংস ভাত, ঘুগনি, মুড়ির দোকান করতে দেওয়া হয়নি। ফলে অবাঞ্ছিত ভিড় জমেনি এলাকায়। পুলিশ ও ভোটারের মুখে হাসি ফুটলেও প্রার্থীদের মুখে হাসি ফোটেনি। উপরতলায় জোট না হলেও নিচুতলায় আইএসএফ ও সিপিএমের মধ্যে বোঝাপড়া হয়েছে বলে সকাল থেকেই জল্পনা চলে।
ভোটের আগে ভাঙড়ে বোমাবাজি, আহত শিশু সহ ৭

কচুয়া হাইস্কুলের বাইরে আইএসএফ নেত্রী আসমা খাতুন ছেড়া কাগজ হাতে নিয়ে অভিযোগ করেন, সিপিএম এজেন্টকে বসতে দেয়নি তৃণমূল। এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভাঙড় থানার সামনে পার্টি অফিসে বসেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। আইএসএফ প্রার্থী নূর আলম খান চক্কর মারেন গোটা ভাঙড় এলাকা।

দিনের শেষে সিপিএমের সৃজন ভট্টাচার্যও ছুটে আসেন ভাঙড়ে। ক্যানিংয়ের জীবনতলায় বসে পুরো ভোটপর্ব পরিচালনা করেন বিধায়ক শওকত মোল্লা। অন্যদিকে, বর্তমানে জেলবন্দি আরাবুল ইসলামের বাড়ি ছিল একেবারে শুনশান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *