তবে, পানীয় জল দূষণের গোড়াতেই এবার আঘাত করতে চায় পুরসভা। মহানন্দা সহ শহর ও লাগোয়া সমস্ত নদী সংস্কার করা হবে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করেছেন বলে পুরসভা সূত্রে খবর। সেচ দফতর কাজ করবে। সঙ্গে থাকবে কেএমডিএ। প্রায় ৬০০ কোটি ব্যয় হবে। শহরে পানীয় জলের সংকটের জেরে এই ব্যবস্থা। আজ বিকেল থেকে শিলিগুড়িতে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। বিকেল পাঁচটার মধ্যেই জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
পাশাপাশি তিনি এও জানান, জরুরিকালীন অবস্থায় কাজ করা হয়েছে। তিস্তায় হড়পা বানের জেরে ব্যারেজের ক্ষতি হয়েছিল। যে কারণে মেরামতির জন্য তিস্তা থেকে জল সরবরাহ বন্ধ ছিল। এই কাজের জন্য ১ মাস সময় লাগার কথা ছিল সেচ দফতরের। তিনি বলেন ‘আমাদের এখানে পিএইচই জল সরবরাহ করে। মহানন্দার জলের রিপোর্ট আসার পরই আমরা মানুষকে জানিয়েছি। কোনও কিছু লুকোনো হয়নি। শহরে এ ব্যাপারে প্রচারে করা হয়েছে।’
শিলিগুড়ি পুরসভা অঞ্চলে সাধারণত এতদিন ধরে তিস্তা নদীর জল পরিশ্রুত করে সরবরাহ করা হয়। গত অক্টোবর মাসে হড়পা বান আসায় তিস্তা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গজলডোবায় তিস্তার নদীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল হড়পা বানের কারণে। বাঁধ সংস্কার করতে সময় লাগার কারণেই তিস্তার জল সরবরাহ বন্ধ রাখা প্রয়োজন ছিল। পালটা, জলের সমস্যা মেটাতে বিগত কয়েকদিন মহানন্দার জল সরবরাহ করা হচ্ছিল। তবে, গত বুধবার মহানন্দার জল সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট আসে। সেখানে দেখা যায়, জলের বিওডি বা বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড বেশি রয়েছে।
সেই কারণে, শিলিগুড়ি পুরসভা কর্তৃক সরবরাহ করা জল পান করতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। এরপরেই পুরসভা তরফে এলাকায় এলাকায় পানীয় জলের ট্যাঙ্ক ও পাউচ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যদিও, পানীয় জল সঠিকভাবে না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ ছিল কিছু পুরসভার বাসিন্দাদের মধ্যে। অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে পুরসভার সামনে আন্দোলন করা হয় বিজেপির তরফে।