পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুক ও কাঁথি লোকসভায় তৃণমূলের তরফে ভোটের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের নির্দেশের পরে আজ দু’টি প্রশিক্ষণ শিবির করতে চলেছেন তিনি। কাউন্টিং এজেন্টদের সোমবার রাতে এক জায়গায় রাখার পরিকল্পনাও করা হয়েছে।
এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে অভিষেক বলেন, ‘গণনার সময়ে কোনও টেবিলে তৃণমূল সাময়িক পিছিয়ে পড়তেই পারে। কিন্তু তার জন্য এজেন্ট যেন মনোবল হারিয়ে না ফেলেন। তাই দৃঢ় মনোবল রয়েছে, এমন কর্মীদেরই এজেন্টের দায়িত্ব দিতে হবে। ইভিএম-র শেষ ভোট গণনা না হওয়া পর্যন্ত কোনও এজেন্ট গণনা কেন্দ্রে ছাড়তে পারবেন না।’
কাউন্টিং সেন্টারের ভিতরে এই প্রস্তুতির পাশাপাশি বিধি মেনে সেন্টার থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে বড় ক্যাম্প করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে বলা হয়েছে, সেই ক্যাম্পে যথেষ্ট সংখ্যায় নেতা-কর্মীদের উপস্থিত থাকতে হবে। সার্বিক ভাবে প্রত্যেকটি লোকসভার কাউন্টিং মনিটরিংয়ের কাজ দলের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক করবেন বলে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য।
কাউন্টি টেবিলে প্রধান রাজনৈতিক দলের এজেন্ট ছাড়াও নির্দল প্রার্থীর এজেন্ট থাকেন। সেই এজেন্ট আদতে বিজেপি অথবা বাম-কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছেন কি না, তাও নজরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে গণনা চলার সময়ে কাউন্টিং এজেন্টদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, কাউন্টিং সেন্টারের বাইরের ক্যাম্পে থাকা নেতা-কর্মীদের তা দেখতে হবে।
গণনা নিয়ে এই নির্দেশের পাশাপাশি বুথ ফেরত সমীক্ষাকে বাড়তি গুরুত্ব না দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন অভিষেক। এই বুথ ফেরত সমীক্ষাকে তিনি ‘ম্যানিপুলেটেড এগজ়িট পোল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের বুথ ফেরত সমীক্ষার উদহারণ টেনেছেন অভিষেক।
সেই বুথ ফেরত সমীক্ষার সঙ্গে প্রকৃত ফলের কোনও মিল ছিল না বলে তিনি ভার্চুয়াল বৈঠকে সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। ২০১৯-এর তুলনায় এবার তৃণমূলের আসন সংখ্যা ও ভোট শতাংশ দুটোই বাড়বে বলে দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন তিনি।
