প্ল্যাটফর্মে থাকা ‘অবৈধ’ স্টল উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমান স্টেশনে। রবিবার গভীর রাতে বর্ধমান স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে থাকা ‘অবৈধ’ স্টলগুলি ভাঙতে গেলে প্রথমে বাধার সম্মুখীন হয় আরপিএফ-কে। ব্যবসায়ীরা আরপিএফ কর্মীদের বাধা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিবাদে লাইনে নেমে রেল অবরোধেরও চেস্টা করেন। যদিও আরপিএফ কর্মীরা তাঁদের হঠিয়ে দেন।ব্যবসায়ী দীপক কুমার সিং, প্রবেশ মিশ্ররা জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে প্ল্যাটফর্মের স্টলে ব্যবসা করছেন। কিন্তু আগে থেকে কোনওরকম নোটিশ না গিয়ে আরপিএফ হঠাৎ করেই এই উচ্ছেদ অভিযান চালায়। সেই উচ্ছেদ অভিযানেরই প্রতিবাদ জানান তাঁরা। ফলে পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ১২২৫৩ আপ এসএমভিটি (বেঙ্গালুরু) ভাগলপুর এক্সপ্রেস থামলে ব্যবসায়ীরা ট্রেনের ইজ্ঞিনের সামনে লাইনের উপর বসে পড়েন। তবে সঙ্গে সঙ্গে আরপিএফ তাঁদের রেল লাইন থেকে সরিয়ে দেয়। ফলে ট্রেন চলাচলে কোনওরকম প্রভাব পড়েনি বলেই জানা যাচ্ছে।
প্রবেশ মিশ্র নামে এক ব্যবসায়ী বলেন,’ আগে থেকে কিছু বলেনি (রেল)। হঠাৎ করে এসে স্ট্যাম্প বা সই ছাড়া একটা নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়। আমাদের প্রমাণ করার কোনও সময়ও দেওয়া হয়নি। গতবারে আদালতে গিয়েছিলাম, স্টে অর্ডার নিয়ে এসেছিলাম। এবার আমরা কোথায় যাব? ৩৮ বছর এখানে আছি।’ ওই ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁদের চাকরি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটাও দেওয়া হয়নি। এখন নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমতো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা।
প্রবেশ মিশ্র নামে এক ব্যবসায়ী বলেন,’ আগে থেকে কিছু বলেনি (রেল)। হঠাৎ করে এসে স্ট্যাম্প বা সই ছাড়া একটা নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়। আমাদের প্রমাণ করার কোনও সময়ও দেওয়া হয়নি। গতবারে আদালতে গিয়েছিলাম, স্টে অর্ডার নিয়ে এসেছিলাম। এবার আমরা কোথায় যাব? ৩৮ বছর এখানে আছি।’ ওই ব্যবসায়ীর দাবি, তাঁদের চাকরি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটাও দেওয়া হয়নি। এখন নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমতো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা।
দীপক কুমার সিং নামে অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমাদের আগে থেকে কোনও কিছু জানায়নি। আমাদের দাদুর সময় থেকে এখানে কাজ করছি। আরপিএফ টাকা নিতে চায়। আমরা টাকা দিতে চাইনি। রাতে ঘুম ভেঙে হঠাৎ দেখি ভাঙতে শুরু করেছে।’ এদিকে এই বিষয়ে রেলের তরফে জানান হয়েছে, এগুলি অবৈধ দোকান। রেলের তরফে আগে ওই সমস্ত ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তাঁরা সরেননি। যার জেরে আইন মেনে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
কিছুদিন আগে হকার উচ্ছেদের বিষয়কে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল নৈহাটি স্টেশনেও। সেই সময় হকারদের তরফে দাবি তোলা হয়, আগে তাঁদের বসার জন্য স্থায়ী জায়গা দিতে হবে। এই দাবি নিয়ে নৈহাটি শহর আইএনটিটিইউসির তরফ থেকে বিক্ষোভ মিছিলও করা হয় স্টেশনে।