তবে তাতেও পরিস্থিতির সন্তোষজনক উন্নতি হয়নি। মডার্ন মেডিসিনের চিকিৎসা-শিক্ষা বিষয়ক দেশের নিয়ামক সংস্থা ন্যাশান্যাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)-এর জাতীয় টাস্ক ফোর্স মারফত র্যাগিং সংক্রান্ত যাবতী তথ্য জমা হয় ইউজিসি-র পোর্টালে। তার তথ্য বিশ্লেষণ করেই ৩০% ঘটনা মেডিক্যাল কলেজে ঘটছে বলে শুক্রবার এনএমসি-র টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের পর জানিয়েছেন ইউজিসি-র প্রতিনিধি অলকা তোমার।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনএমসি-র চেয়ারম্যান বিএন গঙ্গাধর। টাস্ক ফোর্সের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন এনএমসি-র আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের সভাপতি অরুণা ভি ভানিকর, পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের সভাপতি বিজয় ওঝা, এনএমসি-র এথিক্স বোর্ডের সদস্য যোগেন্দর মালিক, এমএমসি-র সচিব তথা ন্যাশান্যাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক বি শ্রীনিবাস, উপসচিব অউজেন্দর সিং এবং টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান তথা নিমহ্যান্সের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বিএম সুরেশ প্রমুখ। বৈঠকে র্যাগিংয়ের জেরে আত্মহত্যার ঘটনার কথাও আলোচিত হয়।
অলকা জানান, দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিং নির্মূল করতে ২০০৯ সালে কড়া নিয়ম চালু হয়। মূলত তিনটি বিষয়ে জোর দেয় ইউজিসি। প্রথমত, র্যাগিংয়ের অভিযোগ গ্রহণ করা। দ্বিতীয়ত, ভর্তির সময়েই পড়ুয়াদের হলফনামা দিয়ে জানানো যে তাঁরা কোনও ভাবেই র্যাগিংয়ে অংশ নেবেন না এবং র্যাগিংয়ের কথা জানতে পারলে পোর্টালে অথবা কর্তৃপক্ষের গোচরে আনা। আর তৃতীয়ত, র্যাগিং বিরোধী সব নিয়ম মেনে চলা।
র্যাগিং সইতে না পেরে আত্মহত্যা প্রসঙ্গে অলকা বলেন, ‘একটি মৃত্যুও মেনে নেওয়া যায় না। যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে, তা হলে মানতেই হবে যে সিস্টেমের মধ্যেই গলদ রয়েছে।’ তিনি জানান, ইউজিসি-র ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন রয়েছে যেখানে পরিচয় গোপন রেখেও অভিযোগ জানানো যায়। অভিযোগ জমা পড়ার আধঘণ্টার মধ্যে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়।