স্থানীয় সূত্রে খবর, পানাপুকুর এলাকায় একটি জায়গায় বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। সেই সময়েই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। একাধিক ব্যক্তির আহত হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখান থেকে প্রচুর বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। বেশ কয়েকটি বোমা এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ঘটনাস্থলেগিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ ও উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ।
ভোট গণনার দিন সকালে SSKM হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে যান কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা পুলিশ আধিকারিকদের দেখা করতে অনুমতি দেননি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের দেহ ৩০ – ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। এর মধ্যে আজাহারউদ্দিন শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
ভোটের আগের দিন ভাঙড়ের একাধিক এলাকায় অশান্তির খবর উঠে আসে। তবে, এদিনের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভাঙড় জুড়ে। প্রসঙ্গত, ভোটের আগের দিন রাতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রফিক খান ও অন্যান্য দলীয় কর্মীরা ভোটের স্লিপ বিলি করার সময় বোমার আঘাতে আহত হন। এই ঘটনায় আইএসএফ কর্মীদের উপর অভিযোগের আঙুল তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনায় একাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক আহত হন। তাঁদের জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ভাঙড় এলাকায় ফের ভোট গণনার আগের দিন একই ঘটনায় এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।