মমতা জানান, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণে আগামী দিনে তাঁরা সরকার গড়লেও একাধিক কাজ ‘স্বেচ্ছাচারিতার’ সঙ্গে করতে পারবে না। তাঁর কথায়,, ‘ইচ্ছেমতো আইন পাশ সংসদে হবে না। এছাড়া ইডি, সিবিআই সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের দিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা করলে আমরা ইন্ডিয়া টিম সবাই মিলে চেপে ধরব।’
দেশের সম্পূর্ণ রায় প্রকাশ হওয়ার পর ইন্ডিয়া জোটসঙ্গীরা বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠক নিয়ে এখনও তৃণমূলের কাছে কোনও নির্দিষ্ট বার্তা আসেনি। তবে, আলাদা করে সপা নেতা অখিলেশ যাদব, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব থেকে শুরু করে হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী, উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ারের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে বলে জানান মমতা। আগামীকাল ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হলে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
বাংলায় কয়েকটি আসনে নতুন করে গণনার দাবি জানানো হবে বলেও জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে বেছে বেছে বিজেপি সমর্থিত পোলিং অবজারভার পাঠানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, তাঁরা এখনও পর্যন্ত বিজেপিকে আরও ১০-১২টি আসনে জিতিয়ে দিতে চাইছে, যেহেতু বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি। বাংলা তথা দেশের মানুষকে সম্মান জানিয়ে মমতা বলেন, ‘এই জয় INDIA-র, এই জয় আমাদের দেশের, আমাদের মা-বোনেদের।’ এর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগের দাবি তুলে তাঁর ফের সংযোজন, ‘মোদী যাক, দেশ থাক।’