প্রতি টেবিলে তিনজন করে ভোটকর্মী কাজ করবেন। ১৫ থেকে ১৬ রাউন্ড ভোট গণনা হবে। এ ছাড়া পোস্টাল ব্যালটের জন্য আলাদা ভোটকর্মীরা কাজ করবেন। গণনাকেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী রয়েছে। স্ট্রংরুম সুরক্ষিত রাখতে ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে গণনাকেন্দ্রের সামনে। মঙ্গলবার সকালেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাউন্টিং এজেন্টরা গণনা কেন্দ্রে হাজির হবেন।
হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের চন্দননগর, চুঁচুড়া, পাণ্ডুয়া, বলাগড়, সিঙ্গুর, ধনেখালি ও সপ্তগ্রাম নিয়ে মোট সাতটি বিধানসভার ভোট গণনা হবে। প্রায় ১১০টি টেবিল প্রস্তুত করা হয়েছে। হুগলি গ্রামীণ এলাকার জন্য ১৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৬২৪২ রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। চন্দননগর কমিশনারেট এলাকায় ৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ২৮৪২ জন রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গণনা পরবর্তী অশান্তি এড়াতে চণ্ডীতলা, জাঙ্গিপাড়া, মগরা, বলাগড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে কমিশন। সতর্কতা রয়েছে আরামবাগেও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ভোটে যে সব এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছিল সেই সব এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে মহকুমাশাসকের কাছে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করার আবেদন করে। সেই মতো আজ ভোর ৫টা থেকে ৬ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জারি করা হচ্ছে ১৪৪ ধারা।
তারকেশ্বর, জাঙ্গিপাড়া, চণ্ডীতলা, মগরা, বলাগড়, খানাকুল, গোঘাট, পুরশুড়া, আরামবাগ ব্লক-সহ একাধিক ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় আজ সকাল থেকেই জারি হচ্ছে ১৪৪ ধারা। আরামবাগ শহরেও বাসস্ট্যান্ড এলাকা, হাসপাতাল মোড়, চাঁদুর, ভাটার মোড়, আরামবাগ পুরাতনবাজারের মতো জনবহুল এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
তারকেশ্বরের চাঁপাডাঙা বাজার ও বাস স্ট্যান্ড, দত্তপুর মোড়, ট্যাগরা মোড়, তাজপুর, পিয়াসাড়া এবং সাহাপুরে সকাল থেকেই জারি থাকছে ১৪৪ ধারা। হুগলি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা এলাকাগুলিতে মোট ১০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন থাকবে। সোমবার থেকে প্রতিটি থানায় ২ থেকে ৪ সেকশন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। যে সব এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই সব এলাকায় মাইকে প্রচার করা হয়েছে।