এজেন্টদের মনোবল তুঙ্গে রাখতে ঘাটালের জোড়াফুল প্রার্থী দেব দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। সারা রাজ্যে তৃণমূল খুব ভালো ফল করতে চলেছে বলে দাবি তারকা প্রার্থী দেবের। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে তৃণমূল কমপক্ষে ২৬টি আসন পেতে চলেছে। তেমন হলে এই সংখ্যাটা ২৯ থেকে ৩০টিও হতে পারে। দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁর আশ্বাস, ‘আমরাই জিতছি।’
তৃণমূলের কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে কাউন্টিং নিয়ে বিশদ নির্দেশ দেন তিনি। অভিষেকের নির্দেশ অনুযায়ী, এ দিন প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রেই এজেন্টদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির করেন সংশ্লিষ্ট জেলার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট লোকসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক।
প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে জোড়াফুলের কাউন্টিং সংক্রান্ত প্রস্তুতির রিপোর্ট এ দিন রাতেই তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। অন্যদিকে, বিরোধী বিজেপি ও বামেরা গণনা কেন্দ্রে ঘুর পথে রাজ্যের ‘ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটি’র অফিসারদের ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে এ দিন অভিযোগ করেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে ১২৯ জন ব্যক্তির নাম দিয়ে দাবি করেছেন, জেলা শাসকদের চাপ দেওয়া হচ্ছে, এঁদের গণনাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য অনুমতিপত্র ইস্যু করার জন্য।
এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে এই ১২৯ জনের বিশদ তথ্য প্রকাশ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। যদিও শুভেন্দুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র শান্তনু সেন এ দিন বলেন, ‘গণনায় কারা কারচুপি করে, তা রাজ্যের মানুষ আগে দেখেছে। বিধানসভা নির্বাচনে কে গণনাকেন্দ্রে লোডশেডিং করিয়েছিল তা-ও মানুষ দেখেছে। এসব ম্যানিপুলেশন কেন্দ্রের শাসক দল করে।’
গণনা কেন্দ্রে ভুয়ো এজেন্ট ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে এ দিন সেলিমের নেতৃত্বে বামেদের একটি প্রতিনিধি দল যায়। সেলিমের অভিযোগ, ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত কার্ড ইস্যু করে যাতে কাউন্টিং সেন্টারে লোক ঢোকানো না হয়, তা কমিশনকে দেখতে হবে। ভুয়ো এজেন্ট যাতে না ঢোকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’