জয়ের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জুন বলেন,‘ এই জয় মা-মাটি-মানুষের জয়। এত বড় যুদ্ধ আমার একার পক্ষে লড়া সম্ভব ছিল না। বাংলার মানুষ দিদিকে ভালোবাসে, তার ছিটেফোঁটা আমরাও পাই।’ পাশাপাশি জয়ের পরেই ৭টি বিধানসভায় কী কী কাজকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন তাও তুলে ধরেন।
এদিকে বিজেপি শিবিরের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, বিজেপি প্রার্থীর হারের পিছনে দলীয় কোন্দল বেশ কিছুটা ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। পাশাপাশি বিধায়ক হিসেবে জুন মালিয়ার নিজস্ব ম্যাজিকও এই আসন জয়ের ক্ষেত্রে বড় বিষয় হিসেবে কাজ করেছে।
তৃণমূল-বিজেপি-বাম, কোন দলের প্রার্থী কারা ছিলেন?
প্রার্থীর নাম | দলের নাম | প্রাপ্ত ভোট |
জুন মালিয়া | তৃণমূল | ৭,০২,১৯২ |
অগ্নিমিত্রা পল | বিজেপি | ৬,৭৫,০০১ |
বিপ্লব ভট্ট | সিপিআই | ৫৭,৭৮৫ |
একসময় সিপিআইয়ের শক্ত ঘাঁটি ছিল এই কেন্দ্র। ২০১৪ সালে সন্ধ্য়া রায়ের হাত ধরে প্রথমবার এই কেন্দ্রে জয় হাসিল করে তৃণমূল। ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রকে ফোকাস করে গেরুয়া শিবির। একদা বামগড় এবং তারপর পালাবদল হয়ে তৃণমূলে জেতা আসনে পরিণত হওয়া মেদিনীপুরে হাওয়া ঘুরিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৪৩৩ ভোটে জয়ী হন তিনি। পরাজিত করেন দুঁদে রাজনীতিবিদ মানস ভুঁইঞাকে। তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে এখনও শোনা যায়, ১৯-র সেই হারের ঘা এখনও দগদগে। এবার তার ‘বদলা’ নিল তৃণমূল।