‘জনতাই কিং মেকার’, স্পষ্ট বার্তা তৃণমূল সেনাপতির। তবে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। দিল্লিতে গিয়ে সকল পক্ষের কথা শুনে, আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, আভাস দেন অভিষেক।
অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবারে রেকর্ড ভোটে জয়ের পর এলাকাবাসীর জন্য আবেগঘন বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের সেবায় কোনও খামতি রাখতে নারাজ তিনি।
ডায়মন্ড হারবারে সবুজ ঝড়। তৃণমূলের প্রতীকে লড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ১০ লাখ ৪৮ হাজার ২৩০ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস (ববি)-র সঙ্গে তাঁর ভোটের ব্যবধান ৭ লাখ ১০ হাজার ৯৩০। রেকর্ড মার্জিনে জয়ের নিরিখে গোটা বাংলায় প্রথম অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। এই নিয়ে তৃতীয়বার ডায়মন্ড হারবারের মানুষ তাঁকে নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে পাঠাল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ডায়মন্ড হারবারের মানুষজনকে ধন্যবাদ জানান তাঁকে সমর্থন করার জন্য, তাঁর উপর ভরসা রাখার জন্য। যে ভরসা তাঁরা দেখিয়েছেন তা পাথেয় করে মানুষের জন্য আগামী পাঁচ বছর কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তিনি, জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল সভাপতি এবং ডায়মন্ড হারবারের ক্যাপ্টেন-দুই ভূমিকাতেই নজর কেড়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারে ৬৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে বিরোধীরা যে বিশেষ ‘দাঁত ফোটাতে’ পারবে না সেই আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল।
অন্যদিকে, অভিষেকের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রশংসাও চলছে অভিজ্ঞ মহলে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর পূর্বাভাস ছিল, বিজেপি ৭৫ থেকে ৭৭টি আসন বড়জোর পেতে পারে। বাস্তবে দেখা গিয়েছিল, বিজেপি ২০০ পার করার দাবি করলেও পেয়েছিল মাত্র ৭৭টি আসন। এবারের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল সেনাপতি স্পষ্ট দাবি করেছিলেন, রাজ্য়ের শাসক দল ৩১ আসন পাবে। বাস্তবে দেখা গেল ২৯টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু, আরও দুটি আসনে মার্জিন বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে ‘কম’ বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। বিষ্ণুপুর এবং বালুরঘাট কেন্দ্র এর মধ্যে ধরা যায়।