কোন হাতিয়ারে বীরভূমে ‘বিরোধী বধ’ তৃণমূল?
বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অসিত কুমার মাল পেয়েছেন ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩৩ ভোট, বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩৮০ ভোট। বামে প্রার্থী শ্যামলী প্রধান পেয়েছেন ৯৯ হাজার ৩৮৩ ভোট। অন্যদিকে, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে শতাব্দী পেয়েছেন ৭ লাখ ১৭ হাজার ৯৬১ ভোট, বিজেপির দেবতনু পেয়েছেন ৫ লাখ ২০ হাজার ৩১১ ভোট।শতাব্দী এই নিয়ে চারবার সংসদে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে বীরভূমের ব্য়াটন নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। গঠন করে দিয়েছিলেন কোর কমিটি। সংগঠনের বাঁধুুনির দিকে দিয়েছিলেন তীক্ষ্ণ নজর। শুরু তাই নয়, লোকসভার আগে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, ‘জেলায় সংগঠন চালাতে হবে কেষ্টর দেখানো পথেই।’ আর দলনেত্রীর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন জেলার নেতারা।
অনুব্রতর অবর্তমানে জেলায় দলের অন্দরে ‘গোষ্ঠীকোন্দল’-এর যাবতীয় সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে দলের কড়া অনুশাসনে। অন্যদিকে, অনুব্রত না থেকেও ছিলেন বীরভূমের ভোটজুড়ে। তাঁর কথা বারে বারে শোনা গিয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বদের কণ্ঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বীরভূমে যতগুলি সভা করেছেন সেখানে নাম নিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের।
অন্যদিকে, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে সংগঠন গোছানোর কাজ করে গিয়েছে। ৪ জুন গণনাকেন্দ্র থেকে বার হয়ে শতাব্দী রায় বলেন, ‘শুধু ভোটের সময় নয়, বছরভর এলাকায় থাকি। অনেকেই বলত, অভিনয় জগতের মানুষরা ভোট পেরলেই চলে যাবে। কিন্তু, এখন আর মানুষ সেই কথা বলতে পারেন না। আমি সকলের কথা শুনি। তাঁদের সমস্যার কথা জেনে তা মেটানোর চেষ্টা করি।’ মোটের উপর বীরভূমের ফলাফলে এটা স্পষ্ট, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সংগঠনের জোরে ভোটবাক্সে সুদিন আনা সম্ভব।