উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। কিছুদিন আগে দুর্গাপুরের সাগরভাঙা এলাকায় চা-চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপ বলেন, ‘একই জায়গায় ঘোরানো হচ্ছে। হাতে সময় কম, কে ঠিক করছে কর্মসূচি? খোঁজ নিয়ে দেখব।’ এমনকী কয়েকদিন আগে দিলীপকে এও দাবি করতে শোনা যায় যে, বিজেপিতে এমন লোক রয়েছে যারা দলকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা তোলে।
যদিও দিলীপের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিশেষ কিছুই বলতে চায়নি বিজেপি। এই বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র রাধিকা ভট্টাচার্য শাহ বলেন, ‘এটা ওঁর মতামত, ওঁর বিচারধারা। তিনি যে ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন সেটাই বলেছেন।’ অন্যদিকে আবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলছে রাজ্যের শাসকদলও। তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, ‘দিলীপ ঘোষকে যে ভাবে অপমান করা হয়েছ, তাঁকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া, সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া, জেতা আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া, দলীয় দফতরে তাঁর ঘর বন্ধ করে দেওয়া… ক্রমাগত তাঁকে অপমান করা হয়েছে, তিনি আগে ভেবে দেখুন আগামীদিনে এই দলটি আর করবেন কি না?’
তবে দিলীপের এই মন্তব্যে ইতিমধ্যেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিজেপির অন্দরের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ নতুন নয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদেরও কেউ কেউ মনে করেন, দলেরই একাংশের সক্রিয়তায় অতীতে ‘ডানা ছাঁটা’ হয় দিলীপ ঘোষের। আর দিলীপের এদিনের মন্তব্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ভোটে হেরে কি তবে এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই সরব দিলীপ ঘোষ? তুঙ্গে জল্পনা।