Lok Sabha Election Result 2024 : জঙ্গলমহলে ফিকে গেরুয়া, সাফল্য এল লক্ষ্মীর-ভাণ্ডারে – lok sabha election results 2024 trinamool defeated bjp in jangalmahal


সমীর মণ্ডল
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উপরে ভর করেই লোকসভা ভোটের ফলাফলে জঙ্গলমহলে গেরুয়া শিবিরকে পিছনে ফেলল জোড়াফুল শিবির। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই জঙ্গলমহলের লাল মাটিতে পদ্ম ফোটাতে শুরু করেছিল বিজেপি। তবে সেবারে ভোট দিতে না পেরে সাধারণ মানুষের জমা হওয়া ক্ষোভ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাষ্প হয়ে বেরিয়ে আসে।যে কারণে একাধিক আসনে ভালো ফলাফল করে পদ্ম শিবির। কিন্তু ২০২১ সালের পর থেকে মানুষের মন পরিবর্তন হতে শুরু করে। তার সঙ্গে যুক্ত হয় রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্প। আর এসব কারণেই জঙ্গলমহলের মানুষ গেরুয়া শিবির থেকে অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

২০১৯-এ জেতা বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর তিনটি আসন এবার হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। জঙ্গলমহলে বলতে গেলে মুখ রেখেছে পুরুলিয়া আসনটি। অথচ এই অঞ্চলের কুড়মি ভোট পেতে চেষ্টার কসুর করেননি পদ্ম শিবিরের নেতারা। তবে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে সেই চেষ্টা কোনও কাজে আসেনি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পই ভরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের ভোট ভাণ্ডার। তৃণমূল নেতাদের যুক্তি, ‘জঙ্গলমহলের শান্তি ফিরেছে। ঢালাও উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ডিসেম্বরে আবাস যোজনায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে টাকা দেওয়া, সব মিলিয়ে মানুষ দিদির উপরেই ভরসা রেখেছেন। সরকারের নানা প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পেয়েছেন। নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে উপলব্ধি করেছেন, কাদের উপর ভরসা রাখা যায়।’

বিশেষজ্ঞদের কথায়, ‘জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের কাছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বেড়ে এক হাজার টাকা হয়ে যাওয়া একটা বড় বিষয়। এতে তাঁদের জীবনযাত্রাতেও একটা পরিবর্তন এসেছে। যেটা গ্রামে না থাকলে বোঝা সম্ভব নয়। তৃণমূল নেতৃত্বের এটাই আসলে মাস্টারস্ট্রোক।’

Election Result 2024 Lok Sabha : মমতার বঙ্গে ফুল ফোটালেন সেনাপতি অভিষেক

অন্যদিকে, লোকসভা ভোটে এমন ফলাফলের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ একটা বড় কারণ বলে মনে করছে বিজেপিও। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি’র সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, ‘মানুষ চাওয়া পাওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারপর একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের লোকজন একেবারেই ভোট দেয়নি বিজেপিকে। সংখ্যালঘু এলাকায় এমন বুথও আছে যেখানে শূন্য, সাত, আট, দশটি ভোট পেয়েছে বিজেপি। কী কারণে এমন হয়েছে, তা এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। পর্যালোচনা করে দেখতে হবে।’

পাশাপাশি বিজেপির পক্ষ থেকে এটাও স্বীকার করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির টাকা আটকে রেখেছে। এমন সব প্রচার সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করাতে পেরেছে তৃণমূল। ভোটেও তার প্রভাব পড়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *