ভোটের প্রচার পর্বে সিঙ্গুরের দইয়ের স্বাদ নিয়ে করা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল। এবার ভোটে জেতার পর হুগলির সদ্য প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে দই পাঠানোরই বার্তা দিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তাঁকে সমর্থন ও ভালোবাসা দেওয়ার জন্য হুগলির মানুষকে আরও একবার ধন্যবাদ জানান রচনা। পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে তৈরি মিমগুলি বাড়তি ‘পাবলিসিটি’ দিয়েছে বলেই মনে করেন তিনি।প্রচারের সময়, সিঙ্গুরে এক দিনমজুরের বাড়িতে দুপুরের খাওয়াদাওয়া সাড়েন রচনা। বেড়াবেড়িতে মানিক বাগ নামে ও দিনমজুরের বাড়ির মাটির দাওয়ায় বসে খাওয়াদাওয়া সারেন তিনি। সেই মেনুতে ছিল, ভাত,বড়ি ভাজা,পটল ভাজা, শুক্তো, ভেজ ডাল, বেগুনি, আলু পোস্ত, চাটনি ও টক দই। খাওয়াদাওয়া সেরে রচনা বলেন, ‘এখানকার (সিঙ্গুর) দই এত ভালো, আমি তো ভাবছি ব্যাগে করে দই নিয়ে যাব। যতবার আসব ততবারই দই নিয়ে যাব।’ একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সিঙ্গুরে এত ঘাস গাছপালায় ভর্তি। সেইগুলো গোরু খাচ্ছে। গোরু তো শাকপাতা খেয়েই বড় হয়। আর সেইগুলো খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে। ফলে তার যে দুধটা বের হয়, তা এত ভালো যে, দইটাও এত ভালো।’ রচনার এই কথা নিয়েই ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এদিন ফের সেই দইয়ের প্রসঙ্গই ফের একবার উঠে এল রচনার কথায়। একইসঙ্গে বিভিন্ন মিম তাঁকে অনেক ‘পাবলিসিটি’ দিয়েছে বলেও মনে করেন রচনা।
একইসঙ্গে এদিন রচনা আরও বলেন, ‘বিরোধীদের এখন এসি চালিয়ে ঘরে ঘুমোতে হবে। হারিয়ে গিয়েছে, আর কেউ নেই সামনে।’ রচনা বলেন, ‘আমি দিদিকে কথা দিয়েছিলাম হুগলি ফেরত দেব। জয়ের পরে দিদির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছে। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।’
একইসঙ্গে এদিন রচনা আরও বলেন, ‘বিরোধীদের এখন এসি চালিয়ে ঘরে ঘুমোতে হবে। হারিয়ে গিয়েছে, আর কেউ নেই সামনে।’ রচনা বলেন, ‘আমি দিদিকে কথা দিয়েছিলাম হুগলি ফেরত দেব। জয়ের পরে দিদির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা হয়েছে। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।’
হুগলিতে আগামীদিনে কী ভাবে কাজ করবেন, এদিন তারও একটি ইঙ্গিত দেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রচনা বলেন, ‘কাজের জন্য প্ল্যানিং করতে হবে। মানুষের কী প্রয়োজন সেই হিসেবে, কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দিদির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে, অভিষেকের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। যেটা মানুষের আগে প্রয়োজন, যে জায়গায় যেমন কাজের প্রয়োজন, তা নিয়ে ভাবতে হবে, সেই হিসেবে কাজে এগোতে হবে।’
এদিন চুঁচুড়ার ওলাইচণ্ডীতলা মন্দিরে গিয়ে প্রণাম করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সম্প্রতি তাঁর শাশুড়ি গত হওয়ায় মন্দিরে পুজো দেননি রচনা। যদিও শাশুড়ির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মিটে গেলে তিনি মন্দিরে পুজো দেবেন বলেও জানান নবনির্বাচিত সাংসদ।