মহিলা প্রতিনিধিদের মধ্যে এমন অনেকজন আছেন, যাঁরা গতবারের লোকসভা নির্বাচনে জিতেই সংসদে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, উলুবেড়িয়া কেন্দ্রের সাংসদ সাজেদা আহমেদ, বারাসত কেন্দ্রের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়, জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল এর আগে একাধিকবার সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
এর বাইরে এবার বেশ কিহু নতুন জয়ী মহিলা সাংসদ প্রতিনিধি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরামবাগের সাংসদ মিতালি বাগ, যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ, বর্ধমান পূর্বের সাংসদ শর্মিলা সরকার, মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া। দলের বিভিন্ন নির্বাচনে মহিলা প্রতিনিধিদের বরাবরই এগিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু নির্বাচনিত প্রতিনিধিদের মধ্যে বা মন্ত্রিসভায় মহিলা সংখ্যা বাড়ানোই নয়, উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও মহিলাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার একাধিক উদাহরণ রয়েছে এই রাজ্যে। এমনকি,রাজ্যসভাতেও সাগরিকা ঘোষ, দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, মমতা বালা ঠাকুরের মতো সাংসদরা রয়েছেন।
অন্যদিকে, মহিলা সংরক্ষণের কথা মুখে বললেও এবার লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মহিলা প্রার্থী সংখ্যা ছিল ৭ জন। যদিও কোনও মহিলা প্রতিনিধি এবার লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি। এর মধ্যে গতবারের সাংসদ হুগলির লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী এবার জয়লাভ করতে পারেননি। নতুন মুখ হিসেবে এবার সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ হিসেবে রেখা পাত্র এবং কৃষ্ণগড়ের রাজবধূ অমৃতা রায়, বোলপুর থেকে পিয়া সাহাকে প্রার্থী করা হলেও কেউই জিততে পারেননি। ফলত, বাংলা থেকে এবার কোনও মহিলা সাংসদকে পার্লামেন্টে পাঠাতে পারছে না গেরুয়া শিবির।
বস্তুত, মহিলা প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর দিক থেকেও যে বিজেপির তুলনায় তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে, সেটা এবারের লোকসভা নির্বাচনে আরেকবার প্রমাণিত হল। গতবারের লোকসভাতেও তৃণমূলের মহিলা প্রতিনিধিদের সংখ্যা কম ছিল না। নবনির্বাচিত মহিলা প্রতিনিধিরা রাজ্যের উন্নয়নে সংসদে গিয়ে কী ভাবে লড়াই করবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় রাজ্য।