আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ক্যাম্পে যায় পুলিশ। তিনি অভিযুক্ত জওয়ানকে শনাক্ত করেন। তার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বিএসএফ জওয়ানদের একটি দলকে রাখা হয়েছে আলিপুরদুয়ার শহরের একটি স্কুলে।
ওই দলেরই এক সদস্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা শহরের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ‘রক্ষকই যদি ভক্ষকের ভূমিকা নেয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে? দেশের নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভাবা উচিত।’
সূত্রের খবর, বিষয়টি জানার পরেই পুলিশকর্তারা অভিযুক্ত জওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই স্কুলে গেলে বিএসএফ কর্তৃপক্ষ কোনওভাবেই সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ। এমনকী ওই জওয়ানকে পুলিশের হাত থেকে বাঁচাতে রীতিমতো বাধা দেন তাঁর সহকর্মীরা। শেষপর্যন্ত জেলার শীর্ষ পুলিশকর্তাদের হস্তক্ষেপে অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই দলটিকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবমশী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই দলটি আরও দশ দিন জেলা শহরে থাকবে। কিন্তু যেহেতু ওই দলের এক সদস্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সেই কারণে দলটিকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ানকে গ্রেপ্তার করে মামলা রুজু করা হয়েছে।’
পঞ্চম দফার ভোটের আগে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় এক মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে। ভোটের ডিউটিতে আসা আইটিবিপির জওয়ানের বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে হুগলির জাঙ্গিপাড়ায়। ষষ্ঠ দফার ভোটে মেদিনীপুরের ডেবরাতেও একই অভিযোগ ওঠে।