উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ পুরসভার দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি ছিল পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার। সেই কাজ চলছে এখনও। যদিও কিছু অংশের বাড়িতে জলের সংযোগ পৌঁছে গিয়েছে। তবে, প্রকল্পের কাজ এখনও সম্পূর্ণ রূপে শেষ হয়নি। এর মধ্যে এই জল প্রকল্পের অধীনেই একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে পুরসভা। রায়গঞ্জ পুরসভার পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছনোর পাশাপাশি এবারে বিভিন্ন দোকান ও ব্যাঙ্ক গুলিতে দেওয়া হবে জলের সংযোগ। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে শুরু করেছে রায়গঞ্জ পুরসভা। বর্তমানে সার্ভে চলছে।
সমীক্ষার কাজ শেষ হলে সার্ভে রিপোর্ট পাঠানো হবে কলকাতায়। তিনি জানান, ব্যাঙ্ক ও বিশেষ করে খাবারের দোকান হোটেল, রেস্তোরাঁ, মিষ্টি, চায়ের দোকানদাররা পাবেন এই পরিষেবা। এদিকে, পুরসভার এই উদ্যোগে খুশি শহরবাসী। সুজন কর্মকার নামে এক শহরবাসী জানান, খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন সময়ে দোকানে জলের প্রয়োজন হয়। পুরসভা জল দিলে সেই সমস্যা মিটবে। এমনিতে শহরে জলের সঙ্কট লেগেই থাকে। কৃষ্ণেন্দু সরকার নামে অপর এক শহরবাসী জানান, পুরসভা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে জল দিলে সকলেই উপকৃত হবেন। বেশ ভালো উদ্যোগ এটি। তবে দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। বিশেষত, হোটেল, মিষ্টির দোকান, খাবারের দোকানে প্রচুর পরিমাণে পানীয় জল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই পরিষেবা চালু হলে ব্যবসায়ীদের অনেকটাই সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। এক হোটেল মালিক জানান, আমাদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পানীয় জল প্রয়োজন হয়। বাইরে থেকে প্যাকেটজাত জল কিনতে হয়। এবার পুরসভার জল পাওয়া গেলে সেটা আমাদের অনেকটাই সাশ্রয় করবে।