মূলত, দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই বিধানসভা থেকে সাজদা আহমেদ ২৪ হাজার ৪২৬ ভোটে লিড পেলেও পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে থাকল শাসক দল। যেটা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাবাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের দাবি, বিষয়টি সেরকম নয়। ফল নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে গত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২৮টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করে। বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম এবং নির্দল একটি করে ওয়ার্ডে জয়লাভ করে। যদিও পরবর্তী সময়ে জয়ী নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৯। আর পুরসভা নির্বাচনের পর এবারের লোকসভা নির্বাচনে পুরসভার ৩২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল পিছিয়ে পড়ল।
যার মধ্যে তৃণমূলের দখলে থাকা ৯টি ওয়ার্ডে আছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী তৃণমূলের দখলে থাকা ৩, ৪, ৮, ১১,১৬, ১৯, ২০, ২১, ২৬ এবং ৩০ নং ওয়ার্ডে পিছিয়ে আছে শাসক দল। অন্যদিকে, সিপিএমের দখলে থাকা ১০ এবং বিজেপির দখলে থাকা ২৯ নং ওয়ার্ডেও পিছিয়ে আছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে শুধু এই ১২টি ওয়ার্ড নয় এর পাশাপাশি ৯ এবং ১৩ নং ওয়ার্ডেও সামান্য ভোটে এগিয়ে আছে শাসক দল।
এদিকে পুরসভা নির্বাচনের দুই বছরের মধ্যে তৃণমূলের এই খারাপ ফলের জন্য তৃণমূলের দখলে থাকা ওয়ার্ডের কেন তৃণমূল কংগ্রেস পিছিয়ে গেল, সেই নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক তথা উলুবেড়িয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ইনামুর রহমান জানান, এইসব ওয়ার্ডের মানুষ কেন আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে সেটা পর্যালোচনা করা হবে। পাশাপাশি ওইসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের নিয়ে প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে তাঁদের সঙ্গে কথা ও বলা হবে বলে জানান ইনামুর রহমান।