এখানেও যদি শাসকদল কংগ্রেসের সমর্থন পেত, তা হলে এই আসন অনায়াসে জোটের দখলে আসত। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস-সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী এক লক্ষেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। মালদহ উত্তর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী, প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় হেরেছেন ৭৭,৭০৮ ভোটে। এখানে প্রসূন পেয়েছেন প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ভোট। কংগ্রেসের মোস্তাক আলমের প্রাপ্ত ভোট পৌনে চার লক্ষ। বিজেপির প্রার্থী খগেন মুর্মু পেয়েছেন ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ভোট। এই আসনটি চেয়েছিল কংগ্রেস। তেমন হলে জোট-প্রার্থী অন্তত ৩ লক্ষ ভোটে জিততেন।
উত্তরবঙ্গের আরও এক কেন্দ্র রায়গঞ্জে বিজেপি জিতেছে ৬৮,৮৫১ ভোটে। এখানে কংগ্রেস পেয়েছে ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ভোট। আর তৃণমূল ৪ লক্ষ ৯২ হাজার। জোট হলে এই আসনটিও তারা দু’লক্ষেরও বেশি মার্জিনে জিতত। পুরুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাত মাত্র ১৭,০৭৯ ভোটে জিতেছেন। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের প্রার্থী ১ লক্ষ ২৯ হাজার ভোট পেয়েছেন। এই আসনটিও দাবি করেছিল কংগ্রেস। জোট হলে এই আসনটিতেও তারা জিতত। পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি কেন্দ্রের দিকেই নজর ছিল গোটা রাজ্যের।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু কাঁথি কেন্দ্রে ৪৭ হাজার ভোটে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছেন। এখানে কংগ্রেস যদি তৃণমূলকে সমর্থন করত, আসনটি জোটের হাতে আসার সম্ভাবনা ছিল। জেলার অন্য হাইভোল্টেজ কেন্দ্র তমলুকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জিতেছেন ৭৭,৭৩৩ ভোটে। এই আসনে কংগ্রেস-সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী ৮৫,৩৮৯টি ভোট পেয়েছেন।
জোট হলে সরল পাটিগণিতে প্রাক্তন বিচারপতির পরাজয় ছিল অবধারিত। সব মিলিয়ে বিজেপির আসন ৫-৬টির বেশি হতো না। দিল্লিতেও ইন্ডিয়া হতো আরও শক্তিশালী।