‘প্রচুর টাকা এসেছিল, কোনও হিসাব দেয়নি’, BJP-র একাংশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ‘রানিমা’ অমৃতার – krishnanagar bjp candidate amrita roy says she does not have details about how money allocated by party was spent


নদিয়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। এদিকে লোকসভা ভোটে পরাজয়ের পরই বিস্ফোরক মন্তব্য শোনা গেল সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের কণ্ঠে। নির্বাচনের জন্য যে অর্থ এসেছিল তা কী ভাবে খরচ করা হয়েছে, তা তাঁকে জানানোই হয়নি, দাবি অমৃতার। একইসঙ্গে পাসবই, চেকবুকও হাতে পাননি বলে দাবি করেছেন তিনি। নির্বাচনে পরাজয়ের পরেই দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন অমৃতা।

ঠিক কী দাবি করেছেন কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের সদস্য তথা বিজেপি প্রার্থী?

অমৃতা সিনহা বলেন, ‘আমি চুরি করি না। কোনও দুর্নীতিতে জড়িত নয়। যখন বিজেপি আমাকে ওদের দলে যোগদান করার প্রস্তাব দিয়েছিল, সেই সময় আমি বারবার ওদের বলেছিলাম একথা। জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমার সততা আপনাদের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না তো! ওরা আমাকে আশ্বস্ত করেছিল।’

তাঁর সংযোজন, ‘আমার নামে প্রচুর টাকা এসেছিল। তা কী ভাবে খরচ করা হত তা জানানো হত না। আমার পাসবুক চেকবুক ওদের কাছে। আমি ভদ্রবাড়ির সদস্যা। বারবার চাওয়া যায়?’ একইসঙ্গে তাঁর দাবি, পরে চোর সাজতে নারাজ তিনি। কত টাকা খরচ হয়েছে ভোটের কাজে, এই নিয়ে কোনও কিছুই জানা নেই তাঁর, মন্তব্য অমৃতার। দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থীর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে।

অমৃতা রায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে ‘রানিমা’-কে ‘উসকানি’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘ভোটে হেরে যাওয়ার পর রানিমার হঠাৎ করে এই অনুভূতি কেন হল? মনে হয় ওঁকে দলের কেউ ইন্ধন দিচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, ‘নির্বাচন কমিশনে যে হিসাব দেওয়ার কথা সেখানে প্রতিটি বিজেপি প্রার্থীর সই করা নথি জমা দেওয়া হয়েছে। হিসাব অমৃতা রায় জানেন। এখন হেরে যাওয়ার পর বিজেপির কেউ কেউ ইন্ধন দিয়ে এই সমস্ত মন্তব্য করাচ্ছেন অমৃতা রায়কে দিয়ে।’

Mahua Moitra : ‘সংসদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম এদের চিতা আমি তুলব…’, ফের স্বমহিমায় মহুয়া

অর্জুন জানান, তিনি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে হিসাব নিয়ে কথা বলেছেন। গণনার কয়েকদিন পর এই নিয়ে প্রার্থীর সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন বলেও দাবি তাঁর। এদিকে বিজেপির ‘ঘরঝগড়া’ নিয়ে সরব তৃণমূল। শাসক দলের রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক তারান্নুম সুলতানা মীর বলেন, ‘কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী যদি হেরে না যেতেন তা হলে এই সমস্ত কার্যকলাপ জানা যেত না।’

Election Result 2024 Lok Sabha : ‘…তোদের চিতা আমি তুলবই’, গণ আদালতের ছাড়পত্র নিয়ে ফের সংসদ চললেন মহুয়া

পরাজিত হয়ে অমৃতা রায়ের শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে বলে মন্তব্য তাঁর। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে এবং এই ঘটনাই তার সবথেকে বড় প্রমাণ, মন্তব্য তাঁর। পাশাপাশি এই তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘কৃষ্ণনগরে তৃণমূলকে হারানোর জন্য যে প্রচুর টাকা এসেছিল তা নিজে মুখেই স্বীকার করলেন বিজেপি প্রার্থী।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *