কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, জোড়াবাগান থানার অধীনে খেলাত ঘোষ লেনের এক বাসিন্দা এই প্রতারণার শিকার হন। ২ জানুয়ারি তিনি একটি স্কাইপ ভিডিও কল পান, কল-এর অপর প্রান্তে স্বল্পবসনা এক মহিলা, যদিও মহিলাকে কয়েক সেকেন্ডই দেখা যায় বলে দাবি অভিযোগকারীর। এবার সেই ভিডিয়ো কলের রেকর্ডিং নিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং।
পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে টাকা চাওয়া হয় সেই ব্যক্তির কাছে। প্রথমে টাকা দিতে অস্বীকার করেন সেই ব্যক্তি। এরপর অভিযোগকারীর পরিবারের সদস্যদের ফোন করতে শুরু করে সেই জালিয়াতের দল। পুরো বিষয়টি পরিবারের সামনে চলে আসায় মানসিক চাপে পড়ে যান সেই ব্যক্তি। বাধ্য হয়ে মানসিক যন্ত্রণায় নির্দিষ্ট একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ টাকা জমা করেন অভিযোগকারী।
বিশাল পরিমাণ টাকা খুইয়ে অবশেষে কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখার (উত্তর ও উত্তর শহরতলি বিভাগ) দ্বারস্থ হন সেই ব্যক্তি। গত ৮ জানুয়ারি তিনি কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, সেই টাকা আরও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ততক্ষণে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
পরবর্তীকালে সেই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে কলকাতা পুলিশ। জোড়াবাগান থানায় মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে সম্পূর্ণ অর্থ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযোগকারীর নিজস্ব অ্যাকাউন্টে। স্বস্তি ফেরে ওই ব্যক্তির পরিবারে। এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে না পড়ার জন্য কলকাতা পুলিশের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে শহরের নাগরিকদের জন্য। নানা অছিলায় টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এরকম নানা চক্র কাজ করে চলেছে। অবাঞ্ছিত ফোন, ভিডিয়ো কল, হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে গুরুত্ব না দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে।