দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, শুধু বাঁধ মেরামতিই নয়, নতুন বাঁধ তৈরির কাজেও হাত দেওয়া যায়নি। তার থেকেও বড় সমস্যা বিভিন্ন খালে সময়ে ড্রেজ়িং করা যায়নি। তার ফলে বর্ষায় জল জমার সমস্যা বেগ দিতে পারে বিভিন্ন এলাকায়। এর থেকেও বড় সমস্যা, বর্তমান সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন।
ফলে তাঁর শূন্যস্থান কবে পূরণ হবে, সেটাও প্রশ্ন। কারণ, মন্ত্রীর অনুমোদন না মিললে কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দেবে। তবে পার্থ জানিয়েছেন, ভোট মিটতেই তিনি কাজের তদারকি শুরু করে দিয়েছেন।
বর্ষা ফুরোলেই পুজো। সাধারণত পুজোর পরে থেকে নদীর বাঁধ নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয়। শীত ফুরোতে না ফুরোতেই মেরামতির কাজ শুরু হয়ে যায়। এ ছাড়া নতুন করে নদীর প্রচুর কাঁচা বাঁধও পাকা করার প্রকল্প থাকে। এই বছর সমীক্ষার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে, মার্চের গোড়াতেই ভোট ঘোষণা হওয়ায় নতুন কাজে ইতি টানতে হয়। সূত্রের খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সুন্দরবন এলাকায় এবং উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ-সন্দেশখালি এলাকায় নদী বাঁধের বেশ কিছু কাজ রয়েছে।
সুন্দরবনে বছরভর ভরা ও মরা কটাল এবং ষাঁড়াষাঁড়ি বানে বাঁধের ধারাবাহিক ক্ষয় এবং ক্ষতি হয়। তার উপরে ঝড়ে এলাকা প্লাবিত হলে বাঁধ ভাঙার ঘটনাও ঘটে। রিমেলে নামখানা এবং সাগর এলাকায় বেশ কিছু নদী বাঁধ ভেঙেছে এবং ক্ষতিও হয়েছে। বর্ষা নামার আগেই সেগুলি তৈরি এবং মেরামতি না করা গেলে বর্ষায় বড় এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
তবে খাল থেকে পলি তোলার কাজ অনেকটাই হয়ে গিয়েছে বলেই আশ্বস্ত করেছেন দপ্তরের কর্তারা। দপ্তরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলছেন, ‘ভোট হবে ধরে নিয়েই আমরা আগে থেকে কাজের একটা ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করেছিলাম। আর ভোট মিটতেই কাজের তদারকি শুরু করে দিয়েছি। ফলে সমস্যা হবে না।’