শনিবার দুপুরেই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষমা চান অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আসলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে খারাপ মন্তব্য করেছিলেন বলে আমার মাথাটা গরম হয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি আমার দেহরক্ষীকেও কটুক্তি করা হয়েছিল। এটা মানা যায় না। এই পরিস্থিতিতে মাথা ঠিক রাখা সম্ভব হয়নি। তবে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এই কাজ করা উচিত হয়নি। আমার ভুল হয়েছে।’
সোহম জানান, আসলে ঘটনাটির যে ফুটেজ রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ সামনে এনেছে, বিষয়টির সূত্রপাত তার ৪৫ মিনিট আগে। রেস্তরাঁর মালিক তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তাঁর দেহরক্ষীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগও উঠেছে। সোহমের দাবি, সেই ফুজেট কেন সামনে আনা হচ্ছে না? পূর্ণাঙ্গ সত্যিটা সামনে আনতে গেলে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনা প্রয়োজন বলে ইঙ্গিত তাঁর।
সোহমের প্রযোজনা সংস্থাও কাঠগড়ায় তুলেছে ওই রেস্তোরাঁর মালিক কর্তৃপক্ষকে। শ্যুটিং করার জন্য টাকা নিলেও সেখানে অব্যবস্থা ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। সোহমের সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তির উপরেও চড়াও হন রেস্তরাঁর কর্মীরা, এই অভিযোগ করা হয়েছে তাঁদের তরফে।
ওই রেস্তরাঁর মালিককে মারধর করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোহম সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ‘সে তো মেরেইছি। ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কটু কথা বলবে তা মেনে নেওয়া যায় না।’ তবে তিনি একজন জনপ্রতিনিধিও বটে। আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর মেজাজ হারানো উচিত হয়নি বলে জানিয়েছেন সোহম। ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
এদিকে অশান্তির খবর পেয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের টেকনো সিটি পুলিশ সেখানে পৌঁছন। এদিকে ঘটনার পর শ্যুটিং শেষ না করেই সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সোহম, জানা গিয়েছে এমনটাই।