স্বাভাবিকভাবেই খুশি সরকারি কর্মীরা। এই দিনটিতে পরিবার পরিজনের সঙ্গে কাটানোর পরিকল্পনা, খাওয়া-দাওয়ার বিশেষ আয়োজনে যোগ দিতে চান অনেকেই। কিন্তু, এক্ষেত্রে ছুটি যাতে কোনওভাবেই বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেই জন্য এই অর্ধদিবস ছুটি। স্বাভাবিকভাবেই খুশি সরকারি চাকরিজীবীরা।
জামাই ষষ্ঠীর দিন জামাইরা সাধারণত শ্বশুরবাড়িতে যান এবং ভুড়িভোজ সেরে থাকেন। তা দীর্ঘদিনের পরম্পরা। এই বছর ১২ জুন বুধবার জামাই ষষ্ঠী পড়ছে। হাফ ডে অফিস করে জামাইরা শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা দিতে পারবেন। তবে এই সুযোগ বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত জামাইদের কাছে থাকছে না।
এদিকে জামাই ষষ্ঠীর আগে ইলিশের দাম দেখে রীতিমতো মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের। জামাই বাবাজীবনের পাতে ইলিশ দেওয়া কি আদৌ সম্ভব হবে? চিন্তার গৃহস্থের কর্তা ও গিন্নি। বাংলায় ইলিশ বেশিরভাগটাই ওঠে সমুদ্র থেকে। কিন্তু, ১৪ জুন পর্যন্ত মাছ ধরা যাবে না সমুদ্র থেকে। জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সাধারণত মাছের প্রজননের জন্য দুই মাস সমুদ্রে মাছ ধরার উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্য দফতর। এদিকে ১২ তারিখ জামাই ষষ্ঠী। মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে সেভাবে বাজারে ইলিশ আসছে না।
সেক্ষেত্রে যেটুকু ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলির দামও রীতিমতো আকাশছোঁয়া। জামাই ষষ্ঠীতে কিছু বাড়িতে ইলিশ খাওয়ার রীতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে জামাইয়ের পাতে আদৌ ইলিশ ফেলা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তের কপালে। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়। বড় সাইজের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।