গরমে আম-জামের পাশাপাশি বাজারে চাহিদা রয়েছে তালশাঁসেরও। অন্যদিকে, সামনেই রয়েছে জামাইষষ্ঠী। প্রতি বছরই এই সময় বাজারে তালশাঁসের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। মালদার গাজোলের রাঙাভিটা ফ্লাইওভারের নীচে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে বিক্রি করছেন তালশাঁস। মালদার বাজারে গরমের সময় আম-জাম-কাঁঠালের পাশাপাশি জায়গা করে নেয় তাল। মূলত ভাদ্র মাসে পাকা তাল বাজারে আসে। তালের বড়া, তালের ক্ষীর, তালের রুটি আম বাঙালির প্রিয় খাদ্য। কিন্তু তার অনেক আগেই বাজারে চলে আসে কচি তাল। খাদ্যগুণ পুষ্টি এবং স্বাদের জন্য কচি তালের শাঁস এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।আর তাই তাল একটু পুষ্ট হতেই বাজারে দেখা মেলে তালশাঁসের। গ্রামীণ এলাকার অনেক কৃষক গাছ থেকে তাল পেড়ে গাজোল শহরে নিয়ে আসেন বিক্রি করতে।এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাজারে আসতে শুরু করে দিয়েছে জলভরা কচি তালশাঁস। তবে শুধু স্বাদের জন্যই নয়, তালশাঁস শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। তালশাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে জল শূন্যতা দূর করে। এছাড়াও তালশাঁসের রয়েছে বেশ কিছু উপকারী ভিটামিন, প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরের জন্য আরও বেশ কিছু উপকারী বস্তু রয়েছে এই তালশাঁসে। তবে আমজনতা এত কিছু বোঝেনা। মূলত স্বাদের জন্য কিনে নিয়ে যায় কচি তালশাঁস।