শুধু তাই নয়, প্রামাণ লোপাট করার জন্য মুম্বই থেকে পেশাদার কসাইকে নিয়ে আসা হয়েছিল শহর কলকাতায়। হত্যার পর বাংলাদেশের সাংসদের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন সিয়াম হোসেনকে নেপাল থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং বাংলাদেশ তাকে ইতিমধ্যেই ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে।
সিয়ামকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার বাগজোলা খালে তল্লাশি করা হয় এবং একাধিক হাড়গোড় উদ্ধার করে সিআইডি। তবে তা বাংলাদেশের সাংসদের কিনা তা জানার জন্য ফরেন্সিক পরীক্ষা করতে হবে। এদিন ভাঙড়ের পোলেরহাট থানা এলাকায় কৃষ্ণমাটিতে অবস্থিত বাগজোলা খালে তল্লাশি চালায় সিআইডি। সেখানেই এই হাড়গুলি উদ্ধার হয়। যদিও ডিএনএ প্রোফাইল করার পরেই তা বাংলাদেশের সাংসদের কিনা জানা যাবে।
এর আগে এই ঘটনার তদন্তে নেমে কিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। এবার উদ্ধার হল কিছু হাড়। এই হাড় এবং মাংসপিণ্ড বাংলাদেশের সাংসদের কিনা তা জানার জন্য তলব করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে। তিনি এসে ডিএনএ স্যাম্পেল দিলে তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। তদন্তকারীদের অনুমান, গত ১৩ মে আনোয়ারুলকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর মুম্বই থেকে ভাড়া করে আনা কসাই জিহাদ হাওলাদারের সাহায্য নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয় তাঁর দেহ।
দেহের কিছু অংশ খালে ফেলে দেওয়া হয় বলেই অনুমান তদন্তকারীদের একাংশের। এই হাড়গোড়গুলি সাংসদের কিনা, তা জানা গেলে তদন্তে নয়া মোড় আসতে পারে।