আগে পরিকল্পনা ছিল যত ভোট পাবেন ততগুলি গাছ লাগাবেন, তবে জয়ের পর সিদ্ধান্ত বদল করেন। সেক্ষেত্রে শুধু নিজে যত ভোট পেয়েছেন, ততগুলি গাছই নয়, গোটা লেকসভা কেন্দ্রে মোট যত ভোট পড়েছে ততগুলি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন। আর সেই সিদ্ধান্তই বাস্তবায়িত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিলেন ঘাটালের তৃতীয়বারের সাংসদ দেব। নয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রায় ১৫ লাখ গাছ লাগাবেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে নোটা অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ নোটায় যত ভোট পড়েছে, সেটিকে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।’সবুজ ঘাটাল’ তৈরির পরকল্পনা নিয়ে এই পদক্ষেপ করেছেন অভিনেতা তথা সাংসদ দেব। তার জন্য ইতিমধ্যেই বেশকিছু জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে। যে সমস্ত গাছ লাগান হবে, সেগুলি দেখভালের দায়িত্ব দলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও পঞ্চায়েতের উপরে থাকছে বলেও জানান তিনি। প্রথম দিনেই ১০ হাজার গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেন দেব। তিনি বলেন, ‘ভারতের ৭০-৭৫ বছরের ইতিহাসে একমাত্র সাংসদ, যে এই উদ্যোগ নিয়েছে। এটা যদি ৩০-৪০ শতাংশ সাংসদ বা জনপ্রতিনিধি নেন, তাহলে দেশটা অন্যরকম দেখতে লাগবে।’ এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই বলেই জানান তিনি।
অন্যদিকে এদিনই তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। দেব বলেন, ‘ওঁকে শুভেচ্ছা। তিনি প্রধানমন্ত্রী, তাঁকে সম্মান করি, তাঁর পদটিকে সম্মান করি। দেশ যেন সুস্থভাবে চলে। যে ভাবে শেষ দশ বছরে বিরোধী দলকে ভাঙার জন্য এজেন্সিকে ব্যবহার করা হয়েছে, তা যেন আগামী ৫ বছরে না হয়। মানুষ যেন শান্তিতে থাকতে পারে। আর বাংলার যে বকেয়া টাকাটা আছে, সেটা যেন রাজ্য পায়।’
অন্যদিকে এদিনই তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। দেব বলেন, ‘ওঁকে শুভেচ্ছা। তিনি প্রধানমন্ত্রী, তাঁকে সম্মান করি, তাঁর পদটিকে সম্মান করি। দেশ যেন সুস্থভাবে চলে। যে ভাবে শেষ দশ বছরে বিরোধী দলকে ভাঙার জন্য এজেন্সিকে ব্যবহার করা হয়েছে, তা যেন আগামী ৫ বছরে না হয়। মানুষ যেন শান্তিতে থাকতে পারে। আর বাংলার যে বকেয়া টাকাটা আছে, সেটা যেন রাজ্য পায়।’
একইসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হিরণের উদ্দেশে দেব বলেন, ‘ওঁকেও শুভেচ্ছা। আমি একটা জায়গায় আটকে ছিলাম, আজও সেই জায়গাতেই আটকে আছি। আমি একটা নীতি নিয়ে রাজনীতি করি। আজকে ভালবাসা জিতেছে। সৌজন্য জিতেছে। আমি ওঁর অনেক ব্যক্তিগত সমস্যা জানি, কিন্তু সেটা কোনওদিন আমার মঞ্চ থেকে ব্যবহার করিনি।’
উল্লেখ্য, এবারে লোকসভা ভোটে বিশেষভাবে নজরে ছিল ঘাটাল কেন্দ্রটি। ফের একবার ওই কেন্দ্রে থেকে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করেন দেব। অন্যদিকে আবার দেবের বিপক্ষে হিরণকে দাঁড় করায় বিজেপি। গোটা নির্বাচন পর্বেই টানটান উত্তেজনা থাকে ঘাটালজুড়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত ফের একবার ঘাটালের মানুষের সমর্থন নিয়ে জিতে আসেন দেব।