Illegal Construction In Kolkata : ডান দিক, বাঁ দিক ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে হবে ইঞ্জিনিয়ারদের, বেআইনি নির্মাণ রুখতে নির্দেশ মেয়রের – mayor firhad hakim message to municipal engineers to stop illegal construction in kolkata


দেবাশিস দাস
বেআইনি নির্মাণ রুখতে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের কঠোর হতে ফের নির্দেশ দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। লোকসভা ভোটের আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি বলবৎ থাকার জন্য মাস তিনেক বন্ধ থাকা ‘টক টু মেয়র’ ফের চালু হয় শনিবার। এ দিন ওই অনুষ্ঠানে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের, বেহালার সোদপুর তল্লাট থেকে এক ব্যক্তি মেয়রকে ফোন করে জানান, তাঁর বাড়ির পিছন দিকে একটি জমিতে একটুও জায়গা না-ছেড়ে বহুতল উঠছে।সে কথা শুনেই তাঁর সামনে বসে থাকা বিল্ডিং বিভাগের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিককে মেয়র বলেন, ‘আপনার ইঞ্জিনিয়াররা কী করছেন? রাস্তায়, গলিতে ঢুকতে বলুন। দেখবেন এই রকম যেন না হয় যে, ডান দিকের বাড়িতে নোটিস দিয়েছে আর বাঁ দিকের বাড়ি দেখেইনি। ডান দিক, বাঁ দিক ঘাড় ঘুড়িয়ে দেখতে বলবেন!’

এ দিন ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশকে বলতে শোনা যায়, ভোটের আগে কলোনিতে বেআইনি নির্মাণের নোটিস দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছিল রাজ্য প্রশাসনের উচ্চ স্তর থেকে। এ দিনের ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে মেয়রের পরিচিত এক জন অভিযোগ করেন কসবার একটি বেআইনি নির্মাণ নিয়ে। ওই ব্যক্তি নিজেকে চেতলার একটি মিষ্টির দোকানের মালিকের ছেলে বলে পরিচয় দেন।

শুনেই মেয়র বলেন, ‘তুমি তো ঘোষদার ছেলে! ভোটের প্রচারে গিয়ে তোমাদের খোঁজ করেছিলাম। চেতলার মেটালি বাগানের কাছে তোমাদের যে বাড়ি ছিল, শুনলাম সেই বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে চলে গিয়েছ। ঘোষদার দোকানে এক সময়ে অনেক আড্ডা দিয়েছি। তুমি আমার সঙ্গে উন্নয়ন ভবনে দেখা কোরো।’

তিন মাস পর এ দিন ফের ‘টক টু মেয়র’ শুরু হতেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেআইনি নির্মান নিয়ে অভিযোগ এসেছে। একের পর এক বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ শুনে মেয়রকে স্বগতোক্তি করতে শোনা যায়,‘ গার্ডেনরিচের কথা মনে পড়লে মন খারাপ লাগে। একটা বাড়ি ভেঙে ১৩ জনের মৃত্যু! ভাবা যায় না।’

বিপর্যয়ের আতঙ্কে এখনও সিঁটিয়ে বন্দরের বাসিন্দারা, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ক্ষোভ

এ দিনের অনুষ্ঠানে উত্তর কলকাতার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রতনবাবু ঘাট রোড থেকে একটি ফোন আসে। অভিযোগকারীর বক্তব্য ছিল, তাঁর বাড়ির পাশে রয়েছে ‘বিশ্বাসবাড়ি’। সেই বাড়ির আম গাছ, অশ্বত্থ গাছের ডাল এসে তাঁর বাড়ির মধ্যে পড়ছে। পাতা ঝরে পড়ায় বাড়ি নোংরা হচ্ছে। ওই সব গাছের ডাল কাটার ব্যবস্থা করা হোক। মেয়র তখন ওই অভিযোগকারীকে বলেন,‘আম গাছে কী অসুবিধে? এখন তো বিনা পয়সায় আম খেতে পারছেন।’

সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগকারী নিজের বয়ান পাল্টে বলেন, ‘ঠিকই বলেছেন। আম গাছটা থাক। অশ্বত্থ গাছের ডালগুলো ছাঁটার ব্যবস্থা করে দিন।’ এ কথা শুনে মেয়রের স্বগতোক্তি, ‘আমে আপত্তি নেই, অশ্বত্থে অসুবিধে!’ তবে এই ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ারদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *