যাত্রীদের আরও ভালো পরিষেবা দিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ করে থাকে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এবার আরও এক যুগান্তকারী পদক্ষেপের পথে কলকাতা মেট্রো। এর ফলে টানেলে থাকা অবস্থায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও থেমে থাকবে না রেক। বরং পৌঁছে যাবে পরবর্তী স্টেশনে। এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও শুরু হয়ে গিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে এই বছরের শেষের দিকে কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে চালু হতে পারে এই পরিষেবা।এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মেট্রোর তরফে জানান হয়েছে, পরিবেশ বান্ধব উপায়ে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, মেট্রো রেলওয়ে খুব শীঘ্রই ব্লু লাইনের সেন্ট্রাল সাব-স্টেশনে ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (BESS) ইনস্টল করতে চলেছে। ইনভার্টার এবং অ্যাডভান্সড কেমিস্ট্রি সেল (ACC) ব্যাটারির সমন্বয়ে গঠিত এই নতুন সিস্টেমটি হঠাৎ পাওয়ার কাট বা গ্রিড ফেলিওয়ের ক্ষেত্রে অবাক করে দেওয়ার মতো কার্যকরী। ইতিমধ্যেই একাধিক বিদেশী বহু-জাতিক সংস্থাগুলি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কলকাতা মেট্রোর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহও প্রকাশ করেছে৷
মেট্রো জানাচ্ছে, নয়া এই সিস্টেমটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এর সাহায্যে উৎপাদিত বিদ্যুত কোনও পাওয়ার ফেলিওর বা ন্যাশনাল গ্রিড ফেলিওরের ক্ষেত্রে টানেলের মধ্যবর্তী জায়গা থেকে পরবর্তী স্টেশনে ৩০ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে রেকগুলিকে নিয়ে যেতে পারবে। সেক্ষেত্রে এটিকে অনেক বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এটি বাস্তবায়িত হলে, বিদ্যুত বিভ্রাটের সময় মেট্রোকে আর ভূগর্ভস্থ টানেলে বা ভায়াডাক্টে অপেক্ষা করতে হবে না। এই ব্যবস্থার সাহায্যে হাজার হাজার যাত্রীকে নিরাপদে পরবর্তী স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া যাবে। এখানেই শেষ নয়, এই ব্যাটারিটি রাতে স্টোরেজ সিস্টেম হিসাবেও ব্যবহার করা হবে এবং পরবর্তীতা সঞ্চিত শক্তি দিনের ব্যস্ত সময়ে ব্যবহার করা যাবে৷
মেট্রো জানাচ্ছে, নয়া এই সিস্টেমটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এর সাহায্যে উৎপাদিত বিদ্যুত কোনও পাওয়ার ফেলিওর বা ন্যাশনাল গ্রিড ফেলিওরের ক্ষেত্রে টানেলের মধ্যবর্তী জায়গা থেকে পরবর্তী স্টেশনে ৩০ কিমি প্রতি ঘন্টা বেগে রেকগুলিকে নিয়ে যেতে পারবে। সেক্ষেত্রে এটিকে অনেক বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ এটি বাস্তবায়িত হলে, বিদ্যুত বিভ্রাটের সময় মেট্রোকে আর ভূগর্ভস্থ টানেলে বা ভায়াডাক্টে অপেক্ষা করতে হবে না। এই ব্যবস্থার সাহায্যে হাজার হাজার যাত্রীকে নিরাপদে পরবর্তী স্টেশনে পৌঁছে দেওয়া যাবে। এখানেই শেষ নয়, এই ব্যাটারিটি রাতে স্টোরেজ সিস্টেম হিসাবেও ব্যবহার করা হবে এবং পরবর্তীতা সঞ্চিত শক্তি দিনের ব্যস্ত সময়ে ব্যবহার করা যাবে৷
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান হয়েছে, মেট্রো কর্তৃপক্ষ নতুন সাব-স্টেশনগুলিতে ট্রাকশন এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেমের (TESS) অতিরিক্ত ফিচার সহ ২ মেগাওয়াট ক্ষমতার মোট ৭ টি BESS ইনস্টল করার পরিকল্পনা করছে। আরও উন্নতমানের মেট্রো পরিষেবার জন্য খুব শীঘ্রই এটি ব্লু লাইনে যুক্ত করা হবে। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আশা, যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলে, তাহলে ২০২৪ সালের শেষের দিকে এই পদ্ধতি মেট্রোতে সংযুক্ত করা যাবে। সেক্ষেত্রে কলকাতা মেট্রোই হতে চলেছে দেশের মধ্যে প্রথম মেট্রো পরিষেবা যেখানে যুক্ত হচ্ছে বেস।