চেয়ারম্যান, বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত এবং বিচারবিভাগীয় সদস্য গৌরসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশাসনিক সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে গঠিত ট্রাইবুনাল ওই রায় দিতে গিয়ে প্রোমোটারের হাতে সাধারণ নাগরিকের হেনস্থার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছে। ট্রাইবুনাল সূত্রের খবর, শ্যামনগরে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে মিনি টাউনশিপে অরিন্দম মিত্র নামে এক ব্যক্তিকে চার কাঠার চারটি প্লট দেওয়ার জন্য ৪৪ লক্ষর বেশি টাকায় চুক্তি করে প্রোমোটিং সংস্থাটি।
অরিন্দমের স্ত্রী শ্যামলী মিত্রের সঙ্গেও ১১ লক্ষর বেশি টাকার চুক্তি হয় দু’কাঠা করে দু’টি প্লটের জন্য। ২০১৩ সালের লিখিত চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৬ সালের মধ্যে সব টাকা মিটিয়ে দেন ওই দম্পতি। চুক্তি অনুযায়ী, ওই বছরেই জমির রেজিস্ট্রেশন করে মিউটেশন করিয়ে জমির নথি তাঁদের দেওয়ার কথা।
কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও, চুক্তি অনুযায়ী, দম্পতিকে জমির নথি প্রোমোটার দেয়নি। জমির রেজিস্ট্রেশন হয়নি। একটা সময়ে আশা ছেড়ে দিয়ে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কলকাতার লেক থানায় অভিযোগ জানান ওই দম্পতি। ওই লেক থানা এলাকাতেই প্রোমোটারের অফিস। কিন্তু তার পরেও জমির রেজিস্ট্রেশন তো দূর, ওই দম্পতির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে প্রোমোটিং সংস্থাটি টাকা ‘ফেরতযোগ্য নয়’ বলে জানিয়ে দেয়।
তখন রাজ্য রিয়েল এস্টেট ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন দম্পতি। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ‘জনপ্রিয় রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে প্রোমোটিং সংস্থাকে ট্রাইবুনাল দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং অরিন্দম মিত্রকে ৫৬ লক্ষ ১৩ হাজার ও তাঁর স্ত্রী শ্যামলী মিত্রকে ১৩ লক্ষ ৬৩০ টাকা ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে।