যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে, এই যুক্তিতেই ‘কর্মযজ্ঞ’ চলছে শিয়ালদহ স্টেশনে। শিয়ালদহের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ চলছে। তার জেরে বাতিল হয়েছে বহু ট্রেন। শনিবার দুর্ভোগের শিকার হয় রাজধানী এক্সপ্রেসও। দিল্লি-শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেসের শিয়ালদহে পৌঁছনোর কথা ছিল সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে। সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ট্রেন দমদম স্টেশনের বাইরে এসে দাঁড়ায়।
কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও ট্রেন চলার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। ট্রেন কখন ছাড়বে বুঝতে না পেরে শেষ পর্যন্ত রেললাইনেই নেমে পড়েন যাত্রীরা। ভারী ব্যাগ-স্যুটকেস কেউ কাঁধে, কেউ পিঠে নিয়ে হাঁটতে শুরু করেন লাইন ধরে। শেষে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ছাড়ে ট্রেন। রেলের কর্তাদের কেউ কেউ বলেন, এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছিল। ফলে শিয়ালদহ-রাজধানীকে এদিন কেন হাওড়ায় নিয়ে যাওয়া হলো না, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
এদিন বহু লোকাল ট্রেনের যাত্রা শুরু এবং শেষ হয় দমদম জংশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বারাসত এবং কল্যাণী স্টেশনে। শনিবার সকাল থেকেই লোকাল ট্রেনগুলিতে ছিল থিকথিকে ভিড়। একই ছবি ছিল দমদম স্টেশনেও। বহু যাত্রী ট্রেনে চড়তেই পারেননি। লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি ডাউন ভাগীরথী এক্সপ্রেসও দমদমের ইয়ার্ডে আটকে পড়ে দীর্ঘক্ষণ।
এক সময়ে দমদম স্টেশনের বাইরে বনগাঁ লোকাল, রানাঘাট মেমু-সহ একাধিক লোকাল দাঁড়িয়ে পড়ে। এদিন যে ক’টি লোকাল শিয়ালদহ স্টেশনে ঢুকেছে, সেগুলির গড়ে এক ঘণ্টা করে সময় বেশি লেগেছে। অনেকে ভিড়ের চাপে ট্রেনে উঠতে না পেরে বিকল্প ব্যবস্থা করে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন।
কিন্তু ভিড়ের চাপে বাস এবং অন্যান্য গণ পরিবহণেও বিশেষ রেহাই মেলেনি। ব্যারাকপুর এবং সোদপুরে অটো পেতেও লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে যাত্রীদের। যাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনের ভোগান্তির সুযোগ নিয়ে বাড়িয়ে নেওয়া হয় ট্যাক্সি ভাড়াও।