জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখতে থাকেন যাত্রীরা। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও ট্রেনের দেখা না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। যাত্রীদের বিক্ষোভ এবং ভাঙচুরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিয়ালদা স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রের বাইরের কাঁচ। অনুসন্ধান কেন্দ্রে কর্মরত কয়েকজন কর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় ট্রেন তো বটেই, স্টেশন-সহ রেলের অনেক সম্পত্তি নষ্ট হয়। এমন অপরাধ রুখতে কড়া আইন রয়েছে রেলের। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ) রেলের সম্পত্তি নষ্ট করার দায়ে গ্রেফতার করতে পারে। ১৯৮৯ সালের রেলওয়েজ আইনের ১৫১ ধারায় বলা আছে রেলের সম্পত্তি নষ্ট করার অপরাধে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। সেই সঙ্গে জরিমানাও হতে পারে দোষীদের। আবার জেল ও জরিমানা দুইই হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার থেকে শিয়ালদা স্টেশনে ১ নম্বর থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কাজ চলছিল। ১২ বগির ট্রেন চালানোর জন্য তিনদিন ধরে এই পাঁচটি প্ল্যাটফর্মে কাজ চালাচ্ছিল রেল। সেই কারণে, শিয়ালদা মেন ও উত্তর শাখায় গত দুদিনে একাধিক ট্রেন বাতিল হয়। এমনকি, একাধিক ট্রেন কয়েক ঘণ্টা দেরিতে চলতে থাকে। কোন ট্রেন কখন ছাড়বে, তার ঘোষণা নিয়েও অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
এমনকি, দূরপাল্লার ট্রেন নিয়েও ভোগান্তির শেষ ছিল না যাত্রীদের। রাজধানী এক্সপ্রেস দমদম স্টেশনের কাছে প্রায় তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। খেয়ালখুশি মতো চলেছে একাধিক লোকাল ট্রেন। যদিও, নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেও প্ল্যাটফর্মের কাজ শেষ হয়। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ব্লক তুলে দেওয়া হয়। যদিও, রেল চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।