স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বাজার এলাকার মধ্যে এই সোনার দোকান অবস্থিত, সেটি ঘিঞ্জি এলাকা। তার মধ্যে দিবালোকে ডাকাত দল ঢুকে লুঠ করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হল। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। জমজমাট এলাকার মধ্যে পুলিশ-ডাকাত দলের গুলির লড়াইয়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। পুলিশের তরফে অনুমান করা হচ্ছে, ডাকাত দল ঝাড়খণ্ড রাজ্যের দিকে পালিয়ে যেতে পারে। জোর তল্লাশি শুরু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ প্রায় ৯ জনের একটি দুষ্কৃতীর দল হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মুখে কাপড় বেঁধে হঠাতই ঢুকে পড়ে রানিগঞ্জ নেতাজি সুভাষ বোস রোডের উপর ওই শো রুমে। বন্দুক দেখিয়ে দোকানের কর্মীদের এক জায়গায় বসিয়ে রাখা হয়। এরপরেই তারা লুঠপাট চালাতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গেই রানিগঞ্জ থানা, শ্রীপুর ফাঁড়ি সহ এলাকার পুলিশ ডাকাতদের ধরার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর ফলে প্রায় ২০-২৫ রাউন্ড দুই পক্ষের গুলি বিনিময় হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন। এক ডাকাতের গুলিবিদ্ধ হওয়ারও খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে তার সঙ্গীরা তাকে তুলে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
পুলিশের তৎপরতা এবং বাজারের ব্যবসায়ীদের হইচইয়ের কারণে ডাকাত দল কিছুক্ষণের মধ্যেই দোকান ছাড়তে বাধ্য হয়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাস মালিক সংগঠনের নেতা সুদীপ রায় এই দোকানটির মালিক। তিনি নিজেও সে সময় দোকানে উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ডাকাত দল পাঞ্জাবী মোড় হয়ে নিয়ামতপুর লিথুরিয়া রোড ধরে পুরুলিয়ার দিকে পালিয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই দোকানের নিচের তলায় মডেল ফার্নিচার, উপরে সেনকো গোল্ড এর শোরুম। কিছুটা দূরেই ব্যাংক, শ্রমিক সংগঠনের অফিস ইত্যাদি নিয়ে জমজমাট এলাকা রানিগঞ্জের ওই অঞ্চল। সেখানে একেবারে দিনে দুপুরে ডাকাত দলের হানায় ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই অত্যন্ত আতঙ্কিত।