এতদিন পর্যন্ত এই পুলিশ স্টেশন নিয়ে কৌতুহলের শেষ ছিল না। কিন্তু, সেভাবে রাতে থাকার ব্যবস্থা ছিল না। এবার সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সম্প্রতি অতিথিদের রাখার জন্য সুখনীড় এবং শান্তিনীড় চালু করা হয়েছে। সুখনীড় বিভিন্ন হোটেলের ডিলাক্স রুমের আদলে তৈরি এবং শান্তিনীড় এসি রুম। ফলে দুটি ক্ষেত্রেই ভাড়ার বিস্তর তারতম্য রয়েছে। অনলাইন এবং অফলাইনে যোগাযোগ করা সম্ভব এই দুই জায়গায়।
কী ভাবে যাবেন?
এক্ষেত্রে যে কোনও ট্রেন, বাস বা গাড়ি ধরে চলে যেতে হবে বহরমপুর। সেখান থেকে এই পুলিশ স্টেশনের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। হরিহরপাড়া থানা চত্বরের ভেতরেই রয়েছে বিরাট বেড়ানোর জায়গা। রয়েছে একটি আশ্রমও। সম্প্রতি ‘খোলা হাওয়া’ নামক ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে, যা চলছে রমরমিয়ে।
কত টাকা ভাড়া লাগবে এক্ষেত্রে?
এই কম্পাউন্ডের মধ্যেই সুখনীড় রিসর্টটি তৈরি করা হয়েছে। ডবল বেডরুম যেখানে একটি রুমে চারজন থাকতে পারবেন তার জন্য খরচ দিতে হবে ১৬০০ টাকা এক রাতের জন্য। খোলা হাওয়া থেকে পাওয়া যাবে খাবার। অপর একটি এসি রুম রয়েছে, যেখানে সর্বাধিক দুই জন থাকতে পারবেন। সেখানের ভাড়া ১০০০ টাকা।
অতিথিরা যেমন জিম, লাইব্রেরি, আশ্রম, গ্রাম্য পরিবেশ উপভোগ করতে পারবেন, তেমনই ইচ্ছে হলে কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে আসতে পারেন তাঁরা।
অনলাইনে কি বুকিং করা সম্ভব?
এই জায়গায় থাকার জন্য অনলাইন বুকিং করা সম্ভব। এক্ষেত্রে মেল আইডি হচ্ছে chandrawdeepsociety@gmail.com। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ফোন নম্বর ৮৯২৬৯০০৮৫১,৯০০২৭৯৬৩৩৫,৮০০১১৭৫৪৯৬-এ যোগাযোগ করে বুকিং করা সম্ভব। পাখির ডাক, চারিদিকে ডালপালা মেলা সবুজের মাঝে একটা দিন কাটানোর জন্য ঢুঁ মেরে আসা যেতেই পারে এই জায়গায়।
এই প্রসঙ্গে আইসি অরূপ রায় জানান, ‘থানার বিল্ডিংটি হেরিটেজ বিল্ডিং। তাই সেখানে পুলিশ স্টেশন ট্যুরিজম-এর ভাবনা করা হয়েছে।’