Bardhaman Weather,Bardhaman Weather : বজ্রাঘাতে মৃত্যু এক মহিলা সহ ৪ জনের, মর্মান্তিক ঘটনা বর্ধমানে – four persons expired for lightening at mangalkot in bardhaman


ফের রাজ্যে বজ্রাঘাতে মৃত্যু। বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটে বজ্রপাতে একজন মহিলা সহ চারজনের মৃত্যু হল। জখম হয়েছেন একজন স্কুল পড়ুয়া। ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়। মৃতদের নাম বিজয় ঘোষ(৫৫), অজিত ঘোষ(৫৯), জিল্লাল মোল্লা(৬২) ও রুবিনা বিবি(৩৭)। মৃতদের মধ্যে কানাইডাঙ্গার বাসিন্দা বিজয় ঘোষ ও অজিত ঘোষ সম্পর্কে দুই ভাই। অন্যদিকে, ঠেঙাপাড়ার বাসিন্দা জিল্লাল মোল্লা এবং বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা রুবিনা বিবি।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রুবিনাদেবী আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় মঙ্গলকোটের সাঁকোনার কাছে বজ্রপাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে, মাঠে গোরু চড়ানোর সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় বিজয় ঘোষ, অজিত ঘোষ ও জিল্লাল মোল্লার। গ্রামে টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় ন’পাড়ার বাসিন্দা দশম শ্রেণির ছাত্রী হাসনাহারা খাতুন বজ্রপাতে গুরুতর জখম হন। তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে এসে মঙ্গলকোট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া ছড়িয়েছে মঙ্গলকোট জুড়ে।

West Bengal Weather Update : অব্যাহত থাকবে ভ্যাপসা গরম, নাকি আসছে বৃষ্টি?

সোমবার সন্ধ্যায় বর্ধমান টাউন সহ বেশ কিছু জায়গায় বিকেলের পর থেকেই মেঘাচ্ছন্ন হয়েছিল। তবে, সেরকম বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যায়নি। তবে, মেমারি, মঙ্গলকোটের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির সঙ্গে সামান্য ঝোড়ো হাওয়া, প্রচুর পরিমাণে বজ্রপাত হয় বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।

কিছুদিন আগেও রাজ্যে বজ্রপাতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সপ্তাহ তিনেক আগে মালদা জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ১১ জনের। মৃতদের মধ্যে তিন নাবালক ও দুই যুবক ছিলেন। এর মধ্যে পুরাতন মালদার সাহাপুরে এক নাবালক-সহ একসঙ্গে তিন জনের মৃত্যু হয়। গাজোলের আদিনাতেও বজ্রপাতে একাদশ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মানিকচক ব্লকেও প্রাণ যায় দুই নাবালক ও এক বৃদ্ধের।

Heatwave Warning : তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে নিস্তার নেই! অসহনীয় হিটওয়েভ আসন্ন, আশঙ্কাবাণী আবহাওয়া দফতরের
গত মে মাসে বজ্রপাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বাংলায়। এর আগে ৬ মে-র একটি দুর্যোগেও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল গোটা রাজ্যে। যার মধ্যে ৯ জনেরই মৃত্যু বজ্রপাতে। রাজ্যে গত কয়েক বছরে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেড়েছে। উল্লেখ্য, বজ্রপাতে বেশি মৃত্যু হয় গ্রামাঞ্চলে। যার মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যু হয় চাষের জমিতে। সাধারণত, চাষের কাজ বা মাঠে গোরু-ছাগল চড়াতে গিয়ে দুর্যোগের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয় একাধিক মানুষের। বজ্রপাতের সময় বা দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকলে বাড়ির বাইরে না বের হওয়ার জন্য বারবার নিষেধাজ্ঞা জারি করে আবহাওয়া দফতর। এরপরেও রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *