সোমবার সন্ধ্যায় বর্ধমান টাউন সহ বেশ কিছু জায়গায় বিকেলের পর থেকেই মেঘাচ্ছন্ন হয়েছিল। তবে, সেরকম বৃষ্টিপাত লক্ষ্য করা যায়নি। তবে, মেমারি, মঙ্গলকোটের দিকে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টির সঙ্গে সামান্য ঝোড়ো হাওয়া, প্রচুর পরিমাণে বজ্রপাত হয় বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
কিছুদিন আগেও রাজ্যে বজ্রপাতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সপ্তাহ তিনেক আগে মালদা জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ১১ জনের। মৃতদের মধ্যে তিন নাবালক ও দুই যুবক ছিলেন। এর মধ্যে পুরাতন মালদার সাহাপুরে এক নাবালক-সহ একসঙ্গে তিন জনের মৃত্যু হয়। গাজোলের আদিনাতেও বজ্রপাতে একাদশ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মানিকচক ব্লকেও প্রাণ যায় দুই নাবালক ও এক বৃদ্ধের।
গত মে মাসে বজ্রপাতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বাংলায়। এর আগে ৬ মে-র একটি দুর্যোগেও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল গোটা রাজ্যে। যার মধ্যে ৯ জনেরই মৃত্যু বজ্রপাতে। রাজ্যে গত কয়েক বছরে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেড়েছে। উল্লেখ্য, বজ্রপাতে বেশি মৃত্যু হয় গ্রামাঞ্চলে। যার মধ্যে বেশিরভাগ মৃত্যু হয় চাষের জমিতে। সাধারণত, চাষের কাজ বা মাঠে গোরু-ছাগল চড়াতে গিয়ে দুর্যোগের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয় একাধিক মানুষের। বজ্রপাতের সময় বা দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকলে বাড়ির বাইরে না বের হওয়ার জন্য বারবার নিষেধাজ্ঞা জারি করে আবহাওয়া দফতর। এরপরেও রাজ্যে বজ্রপাতে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত।