Calcutta High Court News,ভোটের পরেও ‘ঠাঁই’ বাহিনীর, খোলা যাচ্ছে না স্কুল! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ২ আইনজীবী – a new application in calcutta high court regarding school problem as central forces stays there


প্রায় আড়াই মাস ধরে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। ৪ জুন ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। ইতিমধ্যেই শরিক দলের সমর্থন নিয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলায় ২৯টি আসন দখল করেছে তৃণমূল। আসন কমেছে বিজেপির।এদিকে ছুটি কাটার পরেও রাজ্যের বহু স্কুল খোলার ক্ষেত্রে সমস্যা! কারণ সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী জিষ্ণু চৌধুরী ও অয়ন পোদ্দার। বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা। অবিলম্বে এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। আগামী বুধবার এই আবেদন শুনবেন বলে জানাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

২৭ মে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে ১০ জুন থেকে চালু হবে স্কুল। শিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনে ৩ তারিখ থেকে স্কুলে যেতে শুরু করেছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সূচি মোতাবেক, ৯ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত স্কুলগুলিতে ছিল গরমের ছুটি। এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য ২২ এপ্রিল থেকে ৩ জুন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছিল ছুটি। যেহেতু ভোট মিটে যাওয়ার পরও বাহিনী থাকছিল সেই কারণে ছুটির মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছিল। সেই মোতাবেক সোমবার খুলেছে স্কুল।

উল্লেখ্য, লোকসভায় রাজ্যে সাত দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল নির্বাচন। ১ জুন রাজ্যে শেষ দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ৪ তারিখ হয়েছে গণনা। এদিকে ভোটের পরও বাংলায় কিছু এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কমিশনের পক্ষ থেকে। তার মেয়াদ ১৯ জুন। ভোটের পর যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যায়। সেক্ষেত্রে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে স্কুলগুলিতে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে স্কুল শুরু করার ক্ষেত্রে সমস্য়ার কথা সামনে এসেছে।

বাহিনীগুলির ক্যাম্পের জন্য মূলত ব্যবহার করা হয় স্কুলগুলিকে। যে নির্দিষ্ট এলাকায় ভোটের ডিউটিতে কেন্দ্রীয় জওয়ানরা থাকেন তার আশেপাশের এলাকার স্কুলগুলিতে করা হয় ক্যাম্প। এখন দেখার এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *