Government Jobs,’ভুয়ো নিয়োগপত্র’ নিয়েই হাসপাতালে কাজে যোগ দেওয়ার চেষ্টা! তারপর… – a lady allegedly went to join a rural hospital with fake appointment letter at west midnapore


স্বাস্থ্য দফতরের অস্থায়ী পদের ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে এসে বিপাকে পড়লেন এক মহিলা চাকরি প্রার্থী। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য ওই নিয়োগপত্র দেখাতে গেলে সন্দেহ তৈরি হয়। ওই মহিলা ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কাজে যোগ দিতে এসেছেন বলে জানান সিএমওএইচ।অভিযোগ, মেদিনীপুর শহরের বিধাননগর এলাকার বাসিন্দা কৌশিক ঘোষ নামে এক ব্যক্তি এক লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগপত্রটি দিয়েছে ওই মহিলাকে। কিছু টাকা অনলাইন, আর কিছু টাকা অফলাইনে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। পুরো বিষয়টি কোতোয়ালি থানায় জানিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে আনন্দপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা একটি নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য পৌঁছন কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে নিয়োগপত্রটি দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতালের কর্মীদের। তৎক্ষণাৎ ওই মহিলাকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তাঁরা। সেইমতো ওই মহিলা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে পৌঁছলে পুরো বিষয়টি সামনে আসে। এই বিষয়ে আরও জানা গিয়েছে যে, স্বাস্থ্য দফতরের ভুয়া নিয়োগপত্র নিয়ে এর আগেও চাকরিতে যোগ দিতে আসেন কয়েকজন। সেক্ষেত্রেও মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ফের একইভাবে ভুয়ো নিয়োগপত্র প্রকাশ্যে আসায় পুলিশের দারস্থ হচ্ছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এই ঘটনায় বড় কোনও চক্রের যোগ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন সিএমওএইচ।

এই বিষয়ে ওই মহিলার স্বামী সুমন নন্দী বলেন, ‘কৌশিক ঘোষ নামে এক ভদ্রলোক আমাদের বলেছিলেন, ১ লাখ টাকার বিনিময়ে একটি সরকারি কাজ আছে। অফিস অ্যাটেনডেন্টের কাজ। সেই মতো আজ কেশপুর গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম কাজটা ভুয়ো।’ সুমন নন্দী আরও জানান, তাঁর দুর্ঘটনার পর চিকিৎসার জন্য তাঁরা ভুবনেশ্বরে গিয়েছিলেন। সেখানেই ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়। সেই সময়ই এই ভুয়ো কাজের প্রস্তাব আসে। এমনকী চাকরির নিয়োগপত্র হাতে হাতে এসেছে বলেও জানান সুমন।

অন্যদিকে সিএমওএইচ সৌম্যশংকর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘এক মহিলা আমার অফিসে আসেন। বলেন, তিনি নাকি অফিস অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চাকরি পেয়েছেন। অ্যাপোয়েন্টমেন্ট লেটার দেখে আমার সন্দেহ হয়। আমি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করি। তখন তিনি স্বীকার করেন কৌশিক ঘোষ নামে এক ব্যক্তি, এক লাখ টাকার বিনিময়ে তাঁকে এই নিয়োগপত্র দিয়েছেন। এইরকম আরও ৩টি কেস আমরা আগেও পেয়েছি। সেই বিষয়েও আমরা এফআইআর দায়ের করেছি।’ স্বাস্থ্য দফতরে এভাবে টাকার বিনিময়ে কোনও চাকরি পাওয়া যায় না বলেও সাফ জানিয়ে দেন সিএমওএইচ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *